একে অপরকে গুলি, ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

জর্দান উপত্যকায় নিজেদের গুলিতে (ফ্রেন্ডলি ফায়ার) দুই ইসরায়েলি কমান্ডো সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে উপত্যকার একটি ক্যাম্পের কাছে পাহারা দেওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গুলির এই ঘটনা দুই কর্মকর্তার পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি তদন্ত করা হচ্ছে। আনাদোলু।

নিজেদের গুলিতে নিহত দুই ইসরায়েলি কমান্ডো সেনা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইসরায়েলি ওয়ালা ওয়েবসাইটকে জানান, দুই নিহত কর্মকর্তা কমান্ডো ইউনিটের সদস্য ছিলেন। তার মতে, নবী মুসা এলাকার একটি ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

খবরে বলা হচ্ছে, দুই অফিসার সামরিক ঘাঁটির আশপাশে টহল দিতে বেরিয়েছিলেন। এ সময় তারা একজনকে সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করতে এগিয়ে যায়। পরে তারা তাকে গুলি করে। গুলির ভঙ্গি দেখেই বিপরীত থেকে ওই সেনাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে পাল্টাপাল্টি গুলিতে দুজন নিহত হন।

ইসরায়েলি পতাকা

পরে দেখা যায়, যে ব্যক্তিকে প্রথমে সন্দেহ করা হয়েছিল, তিনি তাদের ইউনিটেরই একজন যোদ্ধা। তাকে গুলি করা হয়েছে এই বিশ্বাসে তিনিও পাল্টা গুলি ছোড়েন। ঘটনাটি ইসরায়েল সেনাবাহিনীতে দুঃখজনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

সাধারণ পরিভাষায় ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ার’ বলতে বোঝায় লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার করার সময় ভুল করে নিজেদের কোনো ব্যক্তির ওপর গুলি করে বসা। লক্ষ্যকে ভুল শনাক্ত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এটা অনিচ্ছাকৃত হয়ে থাকে। তবে ইচ্ছা করে কেউ এরকম গুলি করে নিজেদের লোক হত্যা করলে তা ফ্রেন্ডলি ফায়ার নয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রেন্ডলি ফায়ারের মতো দুর্ঘটনা শুরু হয়েছিল। টার্গেট ভুল করার কারণে ঘটা এসব দুর্ঘটনাকে প্রথম ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ার’ নাম দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন বা ন্যাটো উল্লেখ করেছে, মহড়ার সময় যাতে নিজেদের লোক গুলিতে নিহত না হয় সেজন্য সদস্যদের ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের পোশাক পরতে হত। সাধারণ ফ্রেন্ডলি ফায়ার হয়ে যুদ্ধের ময়দানে। কোনো প্রশিক্ষণে এই দুর্ঘটনা বিরল।