যাকাত-উশরভিত্তিক ইসলামি অর্থনীতি চালুর পরিকল্পনা

ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা যাকাত-উশরভিত্তিক ইসলামি অর্থনীতি চালুর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত বছরই কৃষি মন্ত্রণালয় উশরের ব্যাপারে অবহিত করেছিল, ফাইল ছবি

আফগান অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, তারা দেশের যোগ্য বাসিন্দাদের কাছ থেকে উশর (ফসল ও পশুর ওপর ধার্যকৃত এক-দশমাংশ) ও যাকাত আদায়ের ব্যাপারে কাজ করছে। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমদ ওয়ালী হকমল বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, হজ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

হকমাল বলেন, ইসলামি অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল এ উশর ও যাকাত। আফগান অর্থনীতিকেও এই আলোকে সাজানো হবে। তবে কীভাবে সেগুলি সংগ্রহ করতে হবে এবং কাদের থেকে সংগ্রহ করা হবে সে ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত কোনো কিছু জানানো হয়নি। এর কার্যকারিতা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বাধীন যৌথ কমিটি কাজ শুরু করেছে। এ কমিটিতে আরো অর্ন্তভূক্ত রয়েছে হজ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়।

ইসলামি অর্থনীতিতে যাকাতের অবদান গুরুত্বপূর্ণ

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যাদের জমির উর্বর জমি আছে তাদের কাছ থেকে উশর নেওয়া হবে এবং সক্ষম ও সামর্থ্যবান মুসলমানের কাছ থেকে যাকাত আদায় করা হবে।

আফগানিস্তানের অর্থনীতিবিদ আবদুল নাসির রেশতিয়া বলেন, যাকাত ও উশর যদি আধুনিক ও মৌলিক উপায়ে সংগ্রহ করা হয়, তাহলে সরকার বৈশ্বিক সাহায্যের উপর নির্ভর না করেই তার স্বাভাবিক বাজেট মেটাতে সক্ষম হবে।

এদিকে, দেশের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী আশ্বস্ত করেছেন, ইসলামিক আমিরাত যদি যাকাতের অর্থ দরিদ্র ও যোগ্য লোকদের মধ্যে বিতরণ করে তাহলে তারাও এ কাজে সহযোগিতা করবেন।

গত বছর তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই তালেবানের কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে উশর ও যাকাত নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করছেন।