হামাস: ফিলিস্তিনিদের দমাতে অক্ষম ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা-ভিত্তিক প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম জোর দিয়ে বলেছেন, নেগেভ অঞ্চলে অভ্যুত্থান প্রমাণ করে যে, ইহুদিবাদী দখলদারিত্ব তার সমস্ত ‘ঔপনিবেশিক হাতিয়ার’ ব্যবহার করেও ফিলিস্তিনিদের পরাজিত করতে পারবে না।

নেভেগ অঞ্চলে ফিলিস্তিনি আরবদের বিক্ষোভ

এক বিবৃতিতে শুক্রবার এই হামাস নেতা বলেন, দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল তার সমস্ত ঔপনিবেশিক হাতিয়ার ব্যবহার করেও নেগেভ থেকে আমাদের জনগণকে উৎখাত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

নেগেভ অঞ্চলের ফিলিস্তিনি আরবদের তাদের ভূমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সেখানে গাছ লাগাতে ইহুদি জাতীয় তহবিল, জেএনএফ, গঠন করেছে ইসরায়েল। ওই প্রকল্পের ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, ইহুদিবাদীদের ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে ফিলিস্তিনিদের দেশপ্রেম।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনি আরবদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের হামলা

‘এটি একটি নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধ, আমাদের জনগণ, যারা জমির প্রকৃত মালিক, তাদের বিজয় ছাড়া এই যুদ্ধ কখনই শেষ হবে না।’ যোগ করেন হামাসের শীর্ষ নেতা হাজেম কাসেম।

প্রসঙ্গত, এর আগে শুক্রবার ইসরায়েলের আরব সংখ্যালঘু অধিকারের আইনি কেন্দ্র আদালা জানায় যে, ইসরায়েলি পুলিশ বৃহস্পতিবার নেগেভে আয়োজিত বিক্ষোভ দমন করতে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ গ্রহণ করেছে। ইসরায়েলি পুলিশ বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে বলেও জানায় আদালাহ।

মিডেলইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ ইসরায়েলি আরব ও ফিলিস্তিনি রয়েছেন, যারা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলি দখলদারিত্বর সময়ও নিজেদের ভিটামাটি থেকে পালিয়ে যায়নি। সেখানে তাদের যে ভূমি তার মাত্র ৫ শতাংশে বসবাস করে, আর অবশিষ্ট ৯৫ শতাংশ ওই বছরই বাজেয়াপ্ত করে ইসরায়েল।

নেগেভ অঞ্চলের বসবাসরত আরবরা মূলত সম্প্রদায়ের। গ্রামীণ ওই অঞ্চলটি জুড়ে তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করে। তাদের অনেকেই ইসরায়েলি দখলদারিত্বের আগে থেকেই সেখানে রয়েছেন।