কঠোর জিরো-কোভিড নীতিতে ক্ষুব্ধ চীনের জনগণ!

জিরো-কোভিড নীতি বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছে চীন। করোনা নিয়ন্ত্রণে গণহারে টেস্ট, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং ও কঠোর লকডাউনের পথে হাঁটছে বেইজিং। কারণ, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি চীনের বেইজিংয়ে বসতে যাচ্ছে শীতকালীন অলিম্পিক আসর। তাই যেকোনো মূল্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া দেশটি।

কঠোর বিধিনিষেধের ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে দেশটির জনগণ

কিন্তু এমন কঠোর বিধিনিষেধের ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে দেশটির জনগণ। তাদের অভিযোগ বাস্তবতাকে উপেক্ষা করা এই লকডাউনের ফলে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন তারা৷ দ্য হংকং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে জিয়ানে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। সংক্রমণ রোধে জিয়ানের স্থানীয় সরকার কঠোর লকডাউন জারি করে।

কঠোর বিধিনিষেধের ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে দেশটির জনগণ

লকডাউন দেওয়া হলেও শহরটির প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বাসিন্দার খাদ্য, চিকিৎসাসেবা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করার জন্য তাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। এ কারণে চরম বিশৃঙ্খলা ও সংকটের সৃষ্টি হয়।

দ্য হংকং পোস্ট আরও জানায়, এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে উহানে জারি করা প্রথম লকডাউনের পর এতটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও সংকট দেশে আর দেখা যায়নি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পদক্ষেপের সাফল্যই চীনের কমিউনিস্ট সরকারকে এ কর্তৃত্ববাদী নীতি আরোপ করতে উৎসাহিত করেছে।

সমালোচকরা তাই বলছেন- বাস্তবিক অর্থেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তার দল চায়না কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) কাছে এখন দেশটির সাধারণ মানুষের জীবনের চেয়ে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কারণ, করোনা নিয়ন্ত্রণ করে অলিম্পিকের সফল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিতে চায় বেইজিং। তাতে দেশটির জনগণের নাভিশ্বাস বয়ে গেলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই শাসকগোষ্ঠীর!