হীরার দামে আগুন ধরাল ডি বিয়ার্স!

আন্তর্জাতিক কর্পোরেশন গ্রুপ ‘ডি বিয়ার্স’ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আক্রমণাত্মকভাবে হীরার দাম বাড়িয়েছে। তারা হীরার বাজারে দাম বৃদ্ধি নিয়ে জোর খাটাচ্ছে। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাথর কোম্পানিটি এখন রত্ন কেনাবেচায় উন্মাদ হয়ে গেছে। আল জাজিরা।

হীরা

ডি বিয়ার্স গ্রুপ একটি আন্তর্জাতিক কর্পোরেশন যা হীরা খনি, হীরা শোষণ, হীরা খুচরা, হীরা ব্যবসা এবং হীরা শিল্প উৎপাদন খাত নিজে কাজ করে। এ ব্যাপারে তাদের বিশেষজ্ঞ রয়েছে। কোম্পানিটি বড় মাপের ও উপকূলীয় ছোট খনিতে সক্রিয়।

চলতি বছরের প্রথম বিক্রয়ে হীরার দাম প্রায় ৮ শতাংশ বাড়িয়েছে ডি বিয়ার্স। পরিস্থিতির সাথে পরিচিত ব্যক্তিদের মতে, কোম্পানির তথ্যটি ব্যক্তিগত হওয়ায় তা গোপন করতে বলা হয়েছিল। তবে ছোট ও সস্তা পাথরের দাম তারা সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে।

মহামারীর প্রথম প্রভাব থেকে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার কারণে হীরা বাণিজ্য আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি পায়। হীরার গহনার জন্য ভোক্তাদের চাহিদা গত বছর জোরালোভাবে বেড়ে যায়, কিন্ত সরবরাহ সীমাবদ্ধ ছিল।

ডি বিয়ার্স ২০২১ সালের বেশিরভাগ সময়জুড়ে রুক্ষ হীরার দাম বাড়িয়ে দেয়, কারণ মহামারীর প্রথম বছর থেকেই তারা লোকসান পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিল। মহামারিতে শিল্পটি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তবুও এই মূল্যবৃদ্ধির বেশিরভাগই ছিল বড় এবং আরও দামী হীরার ওপর। কিন্তু এখন সস্তা পাথরের ওপর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বতসোয়ানায় চলতি সপ্তাহের বিক্রয় হিসাবে জানা যায়, ডি বিয়ার্স বড় পাথরের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, কিছু ছোট রুক্ষ হীরার দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যাংলো আমেরিকান পিএলসির একটি ইউনিট ডি বিয়ার্সের একজন মুখপাত্র এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।

ওয়ালমার্ট ইনকরপোরেটেডের মতো জায়গায় বিক্রি হওয়া সস্তা গয়নাগুলোতে ব্যবহৃত ছোট হীরা অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে বছরের পর বছর পড়ে থাকে। ২০২১ সালের শেষের দিকে সরবরাহে টান পড়ে। এতে কোম্পানি কঠোর হয় এবং ছোট হীরার উচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়।

ছোট হীরা মূলত সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যাপকভাবে চলে। ডি বিয়ার্স ও আলরোসা ক্রেতারা অন্যান্য রত্ন প্রস্তুতকারকদের কাছে তা বিক্রি করে। ২০০১ সালে পণ্যের ঘাটতি থাকায় সুযোগ কাজে লাগায় ডি বিয়ার্স। তারা দাম বাড়িয়ে এখন ফায়দা লুটছে।