ইউক্রেনকে রক্ষায় অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস বলেছেন, রাশিয়া তার সীমান্তে প্রায় এক লাখ সৈন্য মোতায়েন করার পরে ব্রিটেন ইউক্রেনকে রক্ষায় স্বল্প পাল্লার অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল সরবরাহ করছে। এছাড়া প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সেনাদের একটি ছোট দলকে ইউক্রেনে পাঠানো হবে। বিবিসি।

রাশিয়াকে মোকাবেলায় ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য

বেন ওয়ালেস মনে করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে উদ্বেগের বৈধ এবং বাস্তব কারণ রয়েছে। রাশিয়ান সৈন্যদের আক্রমণের জন্য অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

অবশ্য ইউক্রেনে আক্রমণের পরিকল্পনার কথা বরাবরাই অস্বীকার করেছে রাশিয়া এবং আগ্রাসনের জন্য পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করে আসছে। ২০১৫ সাল থেকে কয়েক ডজন ব্রিটিশ সৈন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণে সহায়তা করার জন্য ইউক্রেনে রয়েছে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া আক্রমণের পর ইউক্রেনের নৌবাহিনীর পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাজ্য একটি প্রতিশ্রুতিও দেয়।

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন

ওয়ালেস বলছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকিমূলক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনকে সুরক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য অতিরিক্ত সহায়তা দেবে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) হালকা অ্যান্টি-আরমার অস্ত্রের প্রথম ব্যাচ পাঠানো হয়েছে, তবে প্রতিরক্ষা সচিব অস্ত্রের বিষয়টি নির্দিষ্ট করেননি।

তিনি বলেন, ইউক্রেনের সীমানা রক্ষা করার সমস্ত অধিকার তার রয়েছে এবং এই নতুন সহায়তা প্যাকেজ ইউক্রেনের সক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। এই সমর্থন স্বল্প পরিসরের এবং স্পষ্টভাবে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্রের সক্ষমতার জন্য। এগুলো কৌশলগত অস্ত্র নয় কিংবা রাশিয়ার জন্য কোনো হুমকিও নয়। এগুলো আত্মরক্ষায় ব্যবহার করা হবে।

যুক্তরাজ্য মনে করে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে কোনো অস্থিতিশীল পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজে যেতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য। প্রতিরক্ষা সচিব বলছেন, যে কোনো আক্রমণকে ‘দখল’ হিসাবে দেখা হবে যা সব পক্ষের বিপুল প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, আমরা রাশিয়ার জনগণের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই, যেমনটি আমরা শত শত বছর ধরে ছিলাম। এমন একটি বিশ্ব রয়েছে যেখানে আমরা রাশিয়ার সাথে পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। আমি এখনও আশাবাদী, কূটনীতিই বিজয়ী হবে।

যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রিস্টাইকো ব্রিটেনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তারা ন্যাটোর সদস্য নয়। আমরা ন্যাটোতে থাকতে চেয়েছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই ইউরোপের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হচ্ছি।