ভারতে ক্লাব হাউসে ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন নারীরা!

ভারতের ক্লাব হাউসগুলোতে অনলাইন আলোচনায় অংশ নিয়ে নারীরা প্রতিনিয়ত ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন। এমনকি নির্যাতনের শিকারও হচ্ছে তারা। একজন নারী নীতি গবেষক একটি জরিপে এসব তথ্য জানিয়েছেন। জরিপে ভুক্তভোগী নারীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। বিবিসি।

ভারতীয় মুসলিম নারীদের প্রতিবাদ

ভাবিনী (ছদ্মনাম) নামে ওই নারী বলছেন, নভেম্বর মাসে তার বন্ধুদের কাছ থেকে একটি ক্লাব হাউসের অনলাইন আলোচনায় শিরোনামসহ একটি স্ক্রিন রেকর্ডিং পেয়েছিলেন, যাতে তার অন্তর্বাসের উল্লেখ রয়েছে। নারী লাইভ-অডিও অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এসব ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনলাইন নিলামের নামে এসব হয়রানি চলছে।

অনলাইন নিলামের রেকর্ডিংগুলোতে পুরুষরা নারীর শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গও নিলাম করছিল। কিন্তু ভাবিনী এতেও অবাক হননি, কারণ তিনি ভারতে থাকেন। আর ভারতে নারীরা এমন সংকটের মধ্য দিয়েই দিনযাপন করে আসছে বছরের পর বছর।

চলমান বিজেপি শাসনে ভারতীয় নারীদের প্রতি হয়রানির মাত্রা বেড়ে গেছে

ভাবিনী বলছেন, পুরুষরা কয়েক মাস ধরে অ্যাপে আমাকে হয়রানি করছে। সপ্তাহে অন্তত একবার তারা আমার সাথে অনলাইন আলাপ চালাচ্ছে, তাতে আমাকে আরও খারাপ নামে ডাকছে। একজন নারীর কণ্ঠ যদি ভালো হয়, তাহলে তাকে এই হয়রানির শিকার হতেই হবে।

জরিপে বলা হচ্ছে, ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু নারীদের চারজনের মধ্যে একজনকে ক্লাব হাউসে নিলামের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এসব নিলামে ২০০ জনেরও বেশি ব্যবহারকারী একসঙ্গে ভার্চুয়ালি অংশ নেয়।

ওই ক্লাব হাউস বিবিসিকে জানিয়েছে, সেদিনের ঘটনায় যারা অনলাইন নিলামের আয়োজন করেছিল তাদের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে। এই কাজে জড়িত অন্যান্য সংযুক্ত অ্যাকাউন্টগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। মহিলারা বলছেন, অ্যাপে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গ্রুপ কয়েক মাস ধরে নাীদের টার্গেট করে এসব করছে।

সমালোচকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজেপির অধীনে মহিলাদের, বিশেষ করে মুসলিম নারীদের আরও বেশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অভিযোগ করলেই মোদিবিরোধী আখ্যা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতয়েন করা হচ্ছে। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।