টোকিও অলিম্পিকের মতোই বিপিএলের সুরক্ষা বলয়

করোনাভাইরাস এখন পৃথিবীর বিদ্যমান নিষ্ঠুর বাস্তবতা। করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, করোনা আক্রান্ত হওয়া নিয়েই দিন কাটছে সবার। করোনাকে বাস্তবতা মেনেই গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে টোকিও অলিম্পিক। ক্রীড়াবিদরা সুরক্ষা বলয়ে ছিলেন, আবার হুট করে করোনা আক্রান্ত হলে বলয়ের বাইরে চলে গেছেন।

বিপিএল-২০২২

অলিম্পিকের মতো নীতিমালা অনুসরণ করেই এবার বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো দল জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকলেও করোনা আক্রান্ত হওয়াকে বাস্তবতা মেনেই চলবে বিপিএল। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে করোনা পজিটিভ হয়ে পড়েছেন জনা দশেক ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, অলিম্পিককে অনুসরণ করবে বিসিবি। তিনি বলেন, ‘করোনার যে গাইডলাইনটা আমরা এই বিপিএলে প্রয়োগ করতে যাচ্ছি, এটা টোকিও অলিম্পিকের আলোকে চেষ্টা করা হয়েছে। এখানকার বিদ্যমান বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চেষ্টা করছি সেটাকে প্রয়োগ করতে।’

দেবাশীষ চৌধুরী, ফাইল ছবি

সুরক্ষা বলয়ের ধারণাও কিছুটা বদলে গেছে এখন। দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘আগে যে বায়ো-বাবল আমরা বলতাম, এখন আগের সেই কনসেপ্ট থেকে পুরো স্পোর্টস সরে আসছে। এখন কিন্তু বায়ো-বাবল কথাটা উল্লেখ্য করা হচ্ছে না। এখন ম্যানেজড ইভেন্ট ইনভারমেন্ট (এমইই) বলা হচ্ছে। জিনিসটা বিদ্যমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রেন্ডলি করার জন্য বায়ো-বাবলকে কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। এমইই কনসেপ্টটা টোকিও অলিম্পিকেও দেখা গেছে।’

বিপিএলে প্রতিটি হোটেলেই কোভিড কমপ্লেইন ম্যানেজার, ডাক্তার থাকবে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক বলেন, ‘প্রত্যেকটি হোটেলে, প্রত্যেকটি ভেন্যুতে আমাদের কোভিড কমপ্লেইন অফিসার আছেন। প্রত্যেকটা হোটেলে যেহেতু ডাক্তাররা থাকবেন সেহেতু তারাই এমইই ম্যানেজ করবেন।’

আক্রান্ত হলেই আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। আজই সবগুলো দল সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করছে। এর মাঝেই করোনা পরীক্ষার কার্যক্রমও চলছে। দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে টেস্ট করছি, যারা নেগেটিভ হবেন তারা এবং যাদের ডাবল ভেক্সিনেশন আছে তারা বাবলে প্রবেশ করবেন। তো আমরা গতকাল, আজকে এবং আগামীকাল তিনদিন আমরা টেস্ট কার্যক্রম চালাচ্ছি। এর মধ্যে যে রেজাল্টগুলো আসছে সেগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের সঙ্গে শেয়ার করছি। আমাদের কোভিড গাইডলাইন অনুসারে যারা পজিটিভ হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা আমরা করছি।’

তবে টুর্নামেন্ট নিয়ে ঝুঁকি দেখছেন না দেবাশীষ চৌধুরী। যদিও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে গত ২ দিনে। তিনি বলেন, ‘এখানে এখন পর্যন্ত আমার হাতে যে কয়জন আক্রান্ত আছে, তাতে করে টুর্নামেন্ট হওয়ার কোনো ঝুঁকি দেখছি না।’