দিন-রাতে কেন এত পার্থক্য? উত্তর খুঁজছেন পাপন

বিপিএলের অষ্টম আসরে টানা দুই দিন একই চিত্র দেখা গেছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে হয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচ। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আবার রানের জোয়ার দেখা গেছে। প্রথম ম্যাচে স্লো, লো উইকেটে বোলারদের দাপটই মঞ্চায়িত হয়েছে। এমন বিপরীত চিত্র, এত পার্থক্যের কারণ খুঁজছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন

গত শুক্রবার প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম ১২৫ রান করেছিল। বরিশাল তা টপকে গেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ১৮৩ রান তুলেছিল। এক ওভার আগেই ১৮৬ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় খুলনা। শনিবারও একই দৃশ্য। প্রথম ম্যাচে সিলেট ৯৬ রান করেছিল। কষ্ট হলেও কুমিল্লা ৯৭ রান করে জয় পায়। দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম ১৬১ রান করে। জবাবে ঢাকার ইনিংস থমকে গেছে ১৩১ রানে।

উইকেটের এমন পরিবর্তন সম্পর্কে বিসিবি সভাপতি আজ বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচটাতে একেবারেই রান হয়নি। এটা তো আশ্চর্যের! এত কম হওয়ার কথা না। তারপরও নিশ্চয়ই সমস্যা ছিল। আবার এই পিচেই আজ চট্টগ্রাম তো ভালোই খেলল। আসলে বলা মুশকিল। কালও একই পরিস্থিতি ছিল, প্রথম ম্যাচে রান কম ছিল পরের ম্যাচে বেশি। এটা নিয়ে আমি বলার আগেই ওরা (গ্রাউন্ডস কমিটি) কথাবার্তা বলছে।’

তারপরও বিপিএল দর্শকদের চাহিদা মেটাতে পারছে উল্লেখ করে পাপন বলেছেন, ‘এত পার্থক্য তো হওয়ার কথা না। ১৮৩ করেও কাল জিততে পারেনি, এটা তো হাই স্কোরিং ম্যাচ। চিন্তা অবশ্যই আছে। ঢাকার উইকেটে খুব বেশি রান হয় না জানি। কিন্তু ১৪০-১৫০ তো হওয়ার কথা। যেসব দল রাতে রান করছে, দিনে তাদের খেলা দেখার আগ পর্যন্ত কিছু বলা মুশকিল।’

উপমহাদেশে উইকেটের বিরাট পরিবর্তন সম্ভব নয় মনে করেন পাপন। বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘আইপিএলে কী হয়? আইপিএলে অনেক মাঠ আছে যেখানে এ রকমই রান হয়। কিছু করার নেই তো। উপমহাদেশে উইকেট আহামরি পরিবর্তন করা যাবে বলে আমি মনে করি না।’

প্রস্তুতির অভাবে মিরপুরে এমন উইকেট হচ্ছে মনে করেন বিসিবি সভাপতি। শনিবার তিন ভেন্যুর উইকেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের উইকেট নাকি তুলনামূলক ভালো। এখন আবার শুনলাম, সিলেটেরটা নাকি ডাউন হয়ে গেছে। খেলা হয় না কিছু না, ডাউন তো হওয়ার কথা না। ঢাকার ওপর না হয় চাপ অনেক বেশি, প্রস্তুত করার সময় পাচ্ছে না। আজ এসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আমরা দেখছি, চেষ্টা করছি। আমাদের ব্যাটাররা রান করলে তো আমরাই বেশি খুশি হবো।’