উইকেট মনে ধরছে না সুজনেরও

বিপিএলের অষ্টম আসরে দুই দিনে চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দিনই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট বিস্ময় উপহার দিয়েছে। দিনের আলোয় লো স্কোরিং ম্যাচ, রাতে ফ্লাডলাইটের কৃত্রিম আলোয় রানের জোয়ার। এমন বৈসাদৃশ্যের চিত্র দেখে সবাই অবাক। উইকেট নিয়ে অভিযোগ নেই খালেদ মাহমুদ সুজনের। তবে ফরচুন বরিশালের কোচ বলেছেন, যেমন আশা করছেন তেমন উইকেট পাচ্ছেন না।

খালেদ মাহমুদ সুজন, ফাইল ছবি

মিরপুর স্টেডিয়ামের উইকেট সম্পর্কে জানতে চাইলে রোববার বিসিবি একাডেমি মাঠে সুজন বলেছেন, ‘কোনো অভিযোগ নেই, এখন দুটা দলের জন্য যখন আমরা খেলছি তখন তো একই রকম দাঁড়াচ্ছে। এটাকে এডজাস্ট করে খেলতে হবে, এক কথায় বলবো ছোট্ট করে বললে যে রকমটা আশা করছি ভালো হবে, ওরকমটা হচ্ছে না।’

বিপিএলে এবার দিন-রাতের ম্যাচে বড় পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। গতকাল যেমন প্রথম ম্যাচে ৯৬ রান হয়েছে। একশোই পার হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে আবার দেড়শো ছাড়িয়েছে স্কোর। উইকেট অত খারাপ মানছেন না সুজন।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, ফাইল ছবি

বিসিবির এ পরিচালক বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমাদের উইকেট আমি মনে করি না যে এতো খারাপ ছিল। যদিও আমরা দুটা টিমই ব্যাটিংয়ে এক্সিকিউশন ওয়াজ নট রাইট। আমরা খুব একটা ভালো ব্যাটিং করিনি দুটো দলই, আমার কাছে মনে হয়েছে। আমরা এর থেকে ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল মনে হয়, হয়তো বা ১২৫ হয়েছে, আমার মনে হয় ১৫০/১৬০ হওয়ার মতো উইকেট ছিল। রাতে যেটা হচ্ছে, যেহেতু কুয়াশা পড়ছে বল টার্ন করছে না ওরকম, যার জন্য ব্যাটিংটা অনেক সহজ মনে হচ্ছে।’

কুয়াশার কারণে রোদ পাচ্ছে না উইকেট। তাতেই নাকি পানি শুকাচ্ছে না এবং উইকেট স্লো হয়ে পড়ছে। সুজন বলেন, ‘আপনি যদি এটাও দেখেন যে গত চার পাঁচদিন আমরা সূর্যর আলোটা ওরকম পাচ্ছি না, যার জন্য উইকেটে যখন পানি দিয়ে রোল করছে তখন উইকেটের ভেতরে ময়শচারাইজ থেকে যাচ্ছে অথবা গ্রাউন্সম্যানরা আশা করছে সূর্য উঠবে, শুকনা হবে কিন্তু সেটা নেই। এটা একটা কারণ হতে পারে, তো এখানে এজন্যই আমার মনে হয়ে যে আবহাওয়াটা ফলো করে আমাদের কতটুক পানি দিলে ভালো হবে কী হবে ওটা মাথায় রাখা জরুরি।’