শাবি ইস্যুতে ঢাবিতে শিক্ষকদের প্রতীকী অনশন
- Details
- by শিক্ষা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে সপ্তাহখানেক ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে রাজধানীতে প্রতীকী অনশন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
ঢাবিতে শিক্ষকদের প্রতীকী অনশন
আজ সোমবার দুপুর থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই কর্মসূচি চলে। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন। তারা শাবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ, আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রাণ রক্ষা এবং তাদের দাবিগুলোর প্রতি সমর্থনে জানান।
প্রতীকী অনশনে অংশ নেয়া শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাবির অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, ঢাবির অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী, পদার্থ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার সহযোগী অধ্যাপক কাজলি শেহরীন ইসলাম, ইংরেজির সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব ও জাবির নৃবিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস ও অধ্যাপক মীর্জা তসলিমা প্রমুখ।
করোনাকালীন বিধিনিষেধের মধ্যেই শাবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে সেখানকার শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনসহ অন্যান্য আন্দোলন চলছে। সপ্তাহখানেক ধরে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার ভিসির বাসভবন ঘেরাও এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়।
শাবি শিক্ষার্থীদের অনশন
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচির ১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে রোববার সন্ধ্যায়। এরইমধ্যে অনশনরত ১৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ হওয়ার পরেও দাবি আদায় না হওয়ায় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী মিছিল করা হয়। এখন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষার্থী নাফিজা আনজুম।
জানা গেছে, শাবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।
১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এ আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক লাঠিপেটা করা হয় এবং তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।
এরপর ওই দিন দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। তারা এখন আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। এরই মধ্যে ২৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর