আপনি পড়ছেন

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাবির ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় পানির সরবরাহ ও জেনারেটরের তেল ফুরিয়ে এসেছে। আজ সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভিসির বাসভবনের এক কর্মচারী।

shabi students go on hunger strikeশাবি শিক্ষার্থীদের অনশন

ওই কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো জানান, ভিসির বাসভবনে যে পরিমাণ পানি রয়েছে, তা রাতের আগেই শেষ হয়ে যেতে পারে। জেনারেটরের তেলও প্রায় শেষ, বাসায় খাবার আনা যাচ্ছে না, যদিও গ্যাসের কোনো সংকট নেই। ফলে সব মিলিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে সংকটের মুখে পড়তে হবে তাদের।

এদিকে, ভিসির বাসভবনের গেটে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের পাশেই শান্তিপূর্ণভাবে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এখন পর্যন্ত বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর উদ্যোগ চোখে পড়েনি, কাউকে সেখানে প্রবেশ বা বের হতে দেখা যায়নি।

শাবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে গত ১১ দিন ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। তাদের আমরণ অনশনের ১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে রোববার সন্ধ্যায়। তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ দুপুর থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতীকী অনশন পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

vc farid uddin ahmedফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ফাইল ছবি

জানা গেছে, শাবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।

১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এ আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক লাঠিপেটা করা হয় এবং তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।

এরপর ওই দিন দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। তারা এখন আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। এরই মধ্যে ২৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।