বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের আলোচিত নির্বাচন শেষ হয়েছে গত ২৮ জানুয়ারি। সেদিন ভোটগ্রহণ শেষে রাতভর গণনা করে পরদিন ভোরে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক, যাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে আজ শনিবার।

fdc zayad khanউত্তপ্ত এফডিসি

এদিনও উত্তপ্ত দেখা গেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, এফডিসি প্রাঙ্গণ। সেখানে মিছিল নিয়ে যান ভোটাধিকার হারানো ১৮০ জন শিল্পী, ‘জায়েদ খানের পদত্যাগ চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ নানা স্লোগান দেন তারা। শিল্পী সমিতির অফিসে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।

আজ শনিবার বিকালে দুই সাধারণ সম্পাদক নিয়ে সভা আহ্বান করে শিল্পী সমিতির নির্বাচন কেন্দ্র করে গঠিত আপিল বোর্ড। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী এতে মূল দায়িত্ব পালন করছেন বোর্ড চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। সভায় উপস্থিত থাকার কথা অভিযোগকারী নিপুণ ও অভিযুক্ত জায়েদ খানের। সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও দুই নির্বাচন কমিশনারকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয় এতে।

zayed khan nipunজায়েদ খান ও নিপুণ, ফাইল ছবি

এর আগে জায়েদ খান ও কার্যকরী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা স্থগিত চেয়ে আপিল বোর্ডে লিখিত আবেদন করেন হেরে যাওয়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। সেটি আমলে নিয়ে নির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন বোর্ড চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

চিঠির প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ক্ষমতা দেওয়ার কথা জানায় মন্ত্রণালয়। অভিযোগ করা হয়েছে, জায়েদ খানের পক্ষে কাজ করেছেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তাতে ফল বিপক্ষে গেছে নিপুণের।

জানা গেছে, সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পাওয়া জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণের ভোট ১৬৩।

নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। একটি কাঞ্চন-নিপুণ, অপরটি মিশা-জায়েদ। ভোটের আগেই কাঞ্চন-নিপুণদের জয়ের ব্যাপারে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত কোনো প্যানেলই এককভাবে জেতেনি। সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ভালো ব্যবধান জিতলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান উতরে গেছেন মাত্র ১৩ ভোটে।