বায়ার্নের তিনে তিন, জয়ে ফিরল মিলান

গত ৮ জানুয়ারি বুরুশিয়া মুনশেনগ্ল্যাডবাখের বিপক্ষে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর টানা জয় তুলে নেয় কোলন ও হের্থা বার্লিনের বিপক্ষে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল আরবি লাইপজিগের সাথেও। যদিও এই জয়ে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছে জার্মান ক্লাবটি।

জয় পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ ও এসি মিলান

বুন্দেসলিগায় গত রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় আরবি লাইপজিগকে ৩-২ গোলে পরাজিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। এদিকে ইতালিয়ান সিরিএতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ২-১  গোলের জয় তুলে নিয়েছে এসি মিলান। স্পেজিয়ার কাছে হারের পর গত ২৪ জানুয়ারি জুভেন্টাসের সাথে গোলশূন্য ড্র করেছিল স্টেফানো পিওলির দল।

বায়ার্ন মিউনিখকে অবশ্য ছেড়ে কথা বলেনি লাইপজিগ। চরম প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ এই ম্যাচে পাঁচ গোলের মধ্যে তিনটিই হয়েছে বিরতির আগে। থমাস মুলার ও রবার্তো লেভানডফস্কির গোলে স্বাগতিকরা দুইবার এগিয়ে যাওয়ার পর আন্দ্রে সিলভা ও ক্রিস্টোফার কুনকুর কল্যাণে দারুণ প্রতাপে সমতায় ফিরে অতিথিরা। কিন্তু কপাল মন্দ ছিল ডোমেনিকো টেডেস্কোর দলের। জোস্কো ভার্ডিওলের আত্মঘাতী গোলে শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

বায়ার্নের হয়ে একটি করে গোল করেন মুলার ও লেভা

পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে বায়ার্ন মিউনিখ। বাকিরা ধারেকাছেও নেই। ২১ ম্যাচে ১৭ ম্যাচে এক ড্র, তিন পরাজয়ে তাদের সংগ্রহ ৫২ পয়েন্ট। দুই নম্বরে আছে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ২০ ম্যাচ খেলা দলটির নামের পাশে আছে ৪৩ পয়েন্ট। ৩১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লাইপজিগ।

ইতালির সান সিরোতে প্রথমে এগিয়ে যায় ইন্টার। ৩৮ মিনিটে গত আসরের শিরোপাধারীদের হয়ে গোলটি করেন ইভান পেরিসিচ। বিরতির আগের বাকি সময় এবং দ্বিতীয়ার্ধের বেশ কিছুক্ষণ দুই দলের জালই অরক্ষিত ছিল। ৭৫ ও ৭৮ মিনিটে জোড়া গোল করেন চেলসি থেকে মিলানে যোগ দেওয়া অলিভিয়ের জিরুড। এরপর আর গোল শোধ করতে পারেনি সাইমন ইনজাগির শিষ্যরা।

২৩ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ইন্টার। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে মিলান।