টিকার পেছনে খরচ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলার অংশ হিসেবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা বা ভ্যাকসিন ক্রয়ের পেছনে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বুস্টার ডোজসহ সবার টিকাদান শেষ হবে। টিকার জন্য এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সব টিকাই কার্যকর। সুতরাং যে টিকা পাওয়া যাবে, সেটি নিতে হবে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো দেশের ১৪ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া। এর মধ্যে টিকা পেয়েছে ৭০ শতাংশ মানুষ। সফলভাবে চলছে টিকাদান কার্যক্রম।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, ফাইল ছবি

তিনি জানান, টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ১০ কোটি এবং প্রায় ৭ কোটি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে দেড় কোটির মতো। এখন পর্যন্ত টিকার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা সাড়ে ২৭ কোটি টিকা পেয়েছি। এখনো হাতে আছে ১০ কোটির মতো টিকা। এখনো টিকা নেননি দেড় থেকে পৌনে ২ কোটি মানুষ। সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

জাহিদ মালেক বলেন, শতভাগ টিকা কার্যক্রম সফল না হলে কিছু টিকা অবশিষ্ট থাকতে পারে। সেগুলোর কী হবে, সেটা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নেওয়ায় এ সময় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কারণ টিকা মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়, সংক্রমণ নয়।