চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ের পর অনিয়মের অভিযোগ এনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আপিল বোর্ড। জায়েদ খানের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রার্থিতা বাতিলের সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট। এবার হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।

nipun akter fdc electionনিপুণ

আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই আপিল করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আজই এ ব্যাপারে শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এর আগে গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুর রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার আদেশ দেয়। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা থামছেই না। চিত্রনায়ক জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর অনিয়মের অভিযোগ এনে পদচ্যুত করা হয় তাকে। সেই পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় চিত্রনায়িকা নিপুণকে। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের শরাণাপন্ন হন জায়েদ খান। তাতে স্বপদে বহাল হন তিনি। এখন আবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেন নিপুণ।

নির্বাচনে দুটি প্যানেল অর্থাৎ কাঞ্চন-নিপুণ এবং মিশা-জায়েদ প্যানেল অংশ নেয়। নির্বাচনে বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি নির্বাচিত হলেও তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যান নিপুণ। অপরদিকে, মিশা সওদাগর হেরে গেলেও ওই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান।

কিন্তু নির্বাচনের দিনই সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিপুণ অভিযোগ করেন যে, জায়েদ খান টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন জায়েদ খান। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পুনঃগণনা চেয়ে আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু পুনঃগণনাতেও বিজয়ী হন জায়েদ।

এরপর বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ। সেখানে জায়েদ খানের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন নিপুণ। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে জায়েদ খানের আলোচনার কিছু স্ক্রিনশট দেখানো হয়। যেখানে দেখা যায়, নির্বাচনে নানাভাবে প্রস্তাব বিস্তার করেছেন জায়েদ খান।

এরপর নিপুণ নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার বিকালে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। এতে নিপূণ অংশ নিলেও ছিলেন না জায়েদ।

তবে জায়েদ খানের অনুপস্থিতিতেই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থেকে তাকে অপসারণের ঘোষণা দেন সোহানুর রহমান সোহান। নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি তার পরিবর্তে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন।