বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের মধ্যে রীতিমতো লড়াই চলছে। নানা নাটকীয়তার পর প্রথমে জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, পরে অনিয়মের অভিযোগে নিপুণের আবেদনে প্রার্থিতাও হারান তিনি।

zayed khanজায়েদ খান, ফাইল ছবি

অন্যদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আপিল বোর্ড নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণা করলে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান জায়েদ, স্থগিত হয় আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আজ মঙ্গলবার সেই স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেছেন নিপুণ, চেম্বার আদালতে আগামীকাল বুধবার যার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এর বিপরীতে বসে নেই দুই বারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানও। তিনি পদটি ধরে রাখতে সম্ভব সবকিছু করছেন বলে জানা গেছে। তবে আপাতত বুধবার আদালতে কি ঘটে, সেদিকে চেয়ে আছেন তিনি।

nipun akter fdc electionনিপুণ আাক্তার, ফাইল ছবি

এদিকে, ভোটের পর এফডিসিতে প্রবেশ করতে না দেওয়া চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর নেতারা নানা ইস্যুতে জায়েদের ওপর নাখোশ। এফডিসির ব্যবস্থানা পরিচালক, এমডির ব্যাপারেও নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের। এসব বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে আজ জরুরি বৈঠকে বসেছেন ১৮টি সংগঠনের নেতারা।

জানা গেছে, প্রযোজক সমিতির স্টাডি রুমে ১৮ সংগঠনের বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের মুখপাত্র চিত্রনায়ক আলমগীর। এই বৈঠকে জায়েদ খানের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

২৮ জানুয়ারির নির্বাচনে দুটি প্যানেল অর্থাৎ কাঞ্চন-নিপুণ এবং মিশা-জায়েদ প্যানেল অংশ নেয়। নির্বাচনে বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি নির্বাচিত হলেও তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যান নিপুণ। অপরদিকে, মিশা সওদাগর হেরে গেলেও ওই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান।

তবে নির্বাচনের দিনই সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিপুণ অভিযোগ করেন যে, জায়েদ খান টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন জায়েদ খান। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পুনঃগণনা চেয়ে আপিল করেন নিপুণ, তাতেও বিজয়ী হন জায়েদ।