বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। সেইসঙ্গে এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ স্থগিত করা হয়েছে। আজ বুধবার এমন আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

zayed khan nipunজায়েদ খান ও নিপুণ, ফাইল ছবি

তথ্যটি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ওইদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ নিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। অপরদিকে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি।

elias kanchan misha saudagarইলিয়াস কাঞ্চন ও মিশা সওদারগর, ফাইল ছবি

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রোকনউদ্দিন মাহমুদ আপিল আবেদনটি করলে তা শুনানির জন্য এদিন (বুধবার) ধার্য করেন আদালত। অন্যদিকে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার আদেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জায়েদ খান ও নিপুণের মধ্যে বিজয় ঘোষণা নিয়ে নানা নাটকীয়তা দেখা দিয়েছে এবার। প্রথমে জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ, পরে অনিয়মের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ড। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পর বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

নির্বাচনে দুটি প্যানেল অর্থাৎ কাঞ্চন-নিপুণ এবং মিশা-জায়েদ প্যানেল অংশ নেয়। নির্বাচনে বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি নির্বাচিত হলেও তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যান নিপুণ। অপরদিকে, মিশা সওদাগর হেরে গেলেও ওই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান।

কিন্তু নির্বাচনের দিনই সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিপুণ অভিযোগ করেন যে, জায়েদ খান টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন জায়েদ খান। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পুনঃগণনা চেয়ে আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু পুনঃগণনাতেও বিজয়ী হন জায়েদ।