সাগর-রুনি হত্যা: জাতিসংঘের ৫ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের উদ্বেগ
- Details
- by গণমাধ্যম
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর হলো আজ শুক্রবার। এক দশকেও তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে পারেনি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই ব্যর্থতার জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের ৫ জন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। তারা হলেন- জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের আইরিন খান, মেরি ললর, ক্লেমেন্ট এন ভউল, নিলস মেলজার ও মরিস টিডবল-বিঞ্জ। তারা বলেছেন, ভয়ংকর ও ব্যাপক দায়মুক্তির সংস্কৃতির কারণে এই হত্যার ন্যায়বিচার হয়নি আজো।
গত ১০ বছরে এদেশে ১৫ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এসব হত্যার খুব কমই তদন্ত, বিচার হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে হামলার সঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি জড়িত থাকার কথা মনে করা হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু অভিযোগ সরকারের নজরে আনা হয়েছে, কিন্তু সাড়া মেলেনি।
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের শাস্তি না হলে তা অপরাধীদের উৎসাহিত করে। ভয় দেখিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার লক্ষ্যে হামলা, হুমকি ও হত্যা আরো উৎসাহিত হয়। ঢাকায় সেই গভীর উদ্বেগজনক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, বলেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা।
বিবৃতিতে ২০১৭ সালে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা এবং ২০২১ সালে পুলিশ হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ বাসাতেই ছিল।
এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বাড়িটির সিকিউরিটি গার্ড এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, বকুল মিয়া,পলাশ রুদ্র পাল, কামরুল হাসান অরুন ও আবু সাঈদ। এছাড়া আসামিদের মধ্যে নিহত রুনির বন্ধু তানভীর রহমান জামিনে আছেন।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর