হামলা চালালেই ত্রিমুখী নিষেধাজ্ঞায় পড়বে রাশিয়া

দেশটিতে হামলা চালালেই রাশিয়ার ওপর ত্রিমুখী নিষেধাজ্ঞা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইইউ। ইউক্রেন নিয়ে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা আর উদ্বেগ চরমে উঠেছে। শুক্রবার ইইউ প্রধান ভন ডার লেইন জানান, এ যাত্রার নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার আর্থিক ও জ্বালানি খাতকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে। ইইউ প্রধানকে উদ্ধৃতি দিয়ে ইউরোপীয় কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, নিষেধাজ্ঞাগুলো মস্কোর আর্থিক ও শক্তি খাতগুলোর পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য রপ্তানিকে উদ্বিগ্ন করবে। খবর এএফপি।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত, ছবি- আল জাজিরা

পশ্চিমা নেতারা কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ আগ্রাসনের বিষয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। কারণ দেশটির সীমান্তজুড়ে হাজার হাজার রুশসেনা জমায়েত রয়েছে। যদিও শুরু থেকেই রাশিয়া আক্রমণের কোনো পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে। তবে ন্যাটোর কাছ থেকে রাশিয়া লিখিত গ্যারান্টি দাবি করেছে যে, জোটটি পূর্ব ইউরোপ থেকে তাদের উপস্থিতি প্রত্যাহার করবে। আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা সেসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

উদ্বেগ বাড়াতে রাশিয়া ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় তার মিত্র বেলারুশের সঙ্গে বড় আকারের সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। মস্কো এবং মিনস্কের কতজন সৈন্য ওই মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে তা প্রকাশ করেনি।

এ ছাড়াও, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে এবং কৃষ্ণসাগরে নতুন সামরিক মহড়াও করবে। মস্কো, যা ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এই কৃষ্ণসাগরকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল।

ইউক্রেনে যুদ্ধের ডামাডোল: ইউক্রেনকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে বাগযুদ্ধের শেষ হচ্ছে না। বরং উল্টো বাজতে শুরু করেছে যুদ্ধের ডামাডোল। বিভিন্নভাবে কূটনৈতিক তৎপরতার কমতি নেই এ সম্ভাব্য ‘মরণখেলা’ প্রতিহতের। তবু কমছে না উত্তেজনা।

ইউক্রেনের দক্ষিণের দুটি সাগরে নৌমহড়ার নামে বিপুল সমর শক্তি জড়ো করেছে রাশিয়া। দুই দেশই বলেছে, সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে ফরাসি ও জার্মান কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরিস্থিতি ‘খুব দ্রুত খারাপ হতে পারে’ বলে হুঁশিয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজের দেশের নাগরিকদের তিনি ইউক্রেন থেকে সরে যেতে বলেছেন। নেদারল্যান্ডস, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও তাদের নাগরিকদের একই নির্দেশ দিয়েছে।

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া আরও সৈন্য পাঠিয়েছে এবং যেকোনো সময় আগ্রাসন চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর বিপরীতে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতি শক্তিশালী করতে পোল্যান্ডে পৌঁছেছে মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-১৫।