শুরু হচ্ছে বইমেলা, যা থাকছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়

বাঙালির প্রাণের মেলা "অমর একুশে বইমেলা" শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রতি বছরের মতো এবারের বই মেলায়ও কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

বইমেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা

সংশ্লিষ্টরা জানান, বই মেলার নিরাপত্তায় মূল মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের আগে প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। এছাড়া কাউকে সন্দেহ হলে তাকে পৃথক কক্ষে নিয়ে তল্লাশি করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণসহ আশ-পাশের এলাকার প্রতি ইঞ্চি এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী সদস্য মোতায়েন থাকবে। মেলার আশ-পাশে মোটরসাইকেল ও গাড়ি টহল থাকবে।

এছাড়াও, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, সিটি এসবি ও ডগ স্কোয়াড সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। অমর একুশে বই মেলা ২০২২ উপলক্ষে আজ রোববার মেলাস্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বইমেলা, ফাইল ছবি

তিনি বলেন, "আমরা পহেলা বৈশাখ যেভাবে পালন করি, বই মেলাটাও জাতীয় সংস্কৃতির এবং জাতীয় জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর নিরাপত্তা বিধানও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি অন্যতম বৃহৎ কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। বইমেলাকে ঘিরে মেলা কেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি শহীদ মিনার কেন্দ্রিক ও শাহবাগ-নীলক্ষেত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সর্বোপরি অমর একুশে বই মেলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে”।

তিনি আরও বলেন, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশ-পাশে তল্লাশি দল থাকবে, সন্দেহভাজন কিছু দেখলে তারা তল্লাশি করবেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, "মেলায় মেডিক্যাল টিম ও ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন থাকবে। ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের ভেতরে ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ থাকবে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মেলা প্রাঙ্গণে আসবেন ও নিরাপত্তা বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।"

মেলায় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরিধান করতে হবে। প্রবেশপথে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা থাকবে, মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। স্টলের কর্মীরা টিকা দিয়েছেন মর্মে কার্ড রাখতে হবে, অন্যথায় তাদেরকে মেলায় থাকতে দেওয়া হবে না।

এ সময় বইমেলায় আপত্তিকর বই প্রকাশের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "মেলায় প্রতিবছর কিছু আপত্তিকর বই বের হয়ে আসে। বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে প্রতিদিন বের হওয়া এতো বই মনিটরিং করা কষ্টসাধ্য।"