বিক্ষোভ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ ট্রুডোর, বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভ্যাকসিন বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে জরুরি আইন করার অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে আদালতের আদেশের প্রয়োজন ছাড়াই বিক্ষোভের সাথে যুক্ত কারও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে পারবে ব্যাংক। কানাডার রাজধানী শহরে এখনও শত শত বিক্ষোভকারী রয়ে গেছে। বিরোধী পক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। বিবিসি।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

গত রোববার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা উইন্ডসরের অ্যাম্বাসেডর ব্রিজে ম্যান্ডেট বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ, যা এক সপ্তাহ ধরে অচল করে দিয়েছিল লরিচালক ও টিকাবিরোধীরা। দেশটি জুড়ে বিক্ষোভ তৃতীয় সপ্তাহে গড়ানোর পর জরুরি আইনের আহ্বান জানালেন ট্রুডো।

একটি নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সমস্ত লরি চালককে অবশ্যই ইউএস-কানাডা সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য টিকা দিতে হবে। আর ফিরে আসার পর কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। এই বিধিনিষেধের জন্য তাদের কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।

কানাডায় পুলিশের অভিযান ব্যর্থ, সরছে না অবরোধকারীরা

ট্রুডো গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কঠোর আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে কানাডিয়ানদের নিরাপদ রাখা ও মানুষের চাকরি রক্ষার স্বার্থে। বিক্ষোভকারীদের কারাদণ্ড বা জরিমানা করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা করতে পুলিশকে আরও সরঞ্জাম দেওয়া হবে।

ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, আইনটি অস্থায়ীভাবে এবং অত্যন্ত নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হবে। তবে সমালোচকরা উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতের কৃষকদের সমর্থনে কণ্ঠ দিয়েছিলেন, যারা ২০২১ সালে এক বছরের জন্য নয়াদিল্লির প্রধান মহাসড়কগুলি অবরোধ করেছিলেন। সেই সময়ে বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষার জন্য কানাডা সর্বদা সেখানে থাকবে।

উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ব্যাংকগুলো আদালতের আদেশের প্রয়োজন ছাড়াই বিক্ষোভের সাথে যুক্ত যে কারও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে পারবে। এমনকি গাড়ির বীমাও স্থগিত করা হবে।

তবে ট্রুডোর এই পদক্ষেপে কানাডিয়ান সিভিল লিবার্টিজ অ্যাসোসিয়েশন একমত নয়। তারা সতর্ক করে দিয়েছে বলেছে, সরকারি সিদ্ধান্ত আমাদের গণতন্ত্র এবং আমাদের নাগরিক স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

অটোয়ার প্রতিবাদী নেতা তামারা লিচ সরকারি পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি এপি নিউজকে বলেছেন, এমন কোনো হুমকি নেই, যা আমাদের ভয় দেখাবে। আমরা অবরোধ অব্যাহত রাখব।