আপনি পড়ছেন

পাকিস্তানের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজওয়ান বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি, পেমরা। টকশোতে যোগাযোগমন্ত্রী মুরাদ সাঈদের কর্মক্ষমতা নিয়ে ‘অনৈতিক’ মন্তব্য সম্প্রচারের অভিযোগে শুক্রবার এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

news oneনিউজওয়ান, ফাইল ছবি

রোববার ডন জানায়, আইনি আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার আগেই যোগাযোগমন্ত্রীর সম্পর্কে ‘কোনো সম্পাদকীয় যাচাই ছাড়াই অসম্মানজনক মন্তব্য’ সম্প্রচার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ জন্য মঙ্গলবারের মধ্যে নিউজওয়ানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় শুক্রবার। তার পর থেকে চ্যানেলটি ক্যাবল নেটওয়ার্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের এমন একতরফা পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানের সম্প্রচারকারী ও সাংবাদিক সমাজ। সেইসঙ্গে অন্যতম বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি, পিপিপিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ‘স্বৈরাচারী মনোভাব’ বলে কটাক্ষ করেছেন দলটির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।

imran khan murad saeedপাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে মুরাদ সাঈদ, ফাইল ছবি

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ‘জি ফর ঘারিদাহ’ টকশোতে যোগাযোগমন্ত্রীর কর্মক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। তিনি মন্ত্রিসভার সেরা ১০ মন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন। এসব মন্ত্রীকে সম্মামনা দিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পেমরার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই শোতে সেরামন্ত্রীর সম্মাননা সাঈদকে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন উপস্থাপক ও আলোচকরা। এই সম্মাননা দেওয়ার পেছনে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বাইরেও অন্য কোনো কারণ খুঁজেও কটাক্ষপূর্ণ ইঙ্গিত করা হয়।

এ ধরনের ‘অপেশাদার বা অপমানজনক মন্তব্য’ সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ অথবা বিলম্ব ব্যবস্থা ছাড়াই প্রচারিত হয়েছে। এটি ‘চ্যানেলের সম্পাদকীয় নীতি ও গেট-কিপিং টুল গৃহীত বা অনুশীলিত হওয়া নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ বাড়ায়। সে কারণে ২০১৫ সালের পেমরা অধ্যাদেশ এবং ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এ জন্য চ্যানেলটির শীর্ষ ব্যবস্থাপনাকে ৪ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে পেমরা। সেইসঙ্গে কেন এটির বিরুদ্ধে জরিমানা, স্থগিতাদেশ ও লাইসেন্স বাতিলসহ ব্যবস্থা নেওা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে এমন অভিযোগে চ্যানেলটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদ করেছে পাকিস্তান ব্রডকাস্টার অ্যাসোসিয়েশন, পিবিএ।

সংগঠনটি অবিলম্বে চ্যানেলটির সম্প্রচার চালুর দাবি জানিয়ে বলেছে, এটি একতরফা ও বেআইনি পদক্ষেপ, যা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুতর হুমকিতে ফেলে। টিভি চ্যানেল বন্ধের নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নও।