আগে থেকেই ড্রোন বানাচ্ছে হিজবুল্লাহ, এখন বিক্রিও করবে

ক্ষেপণাস্ত্র তো বটেই, বহু আগে থেকেই ড্রোন বানাচ্ছে লেবাননের আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। শুধু নিজেদের জন্য নয়, এখন অন্যদের কাছে ড্রোন বিক্রিও করতে চায় সশস্ত্র সংগঠনটি। এসব তথ্য জানিয়েছেন ইরান সমর্থিত সংগঠনটির প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ।

হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ, ছবি-রয়টার্স

সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়া গতকাল বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরুল্লাহ বলেছেন, লেবাননে আমরা বহু আগে থেকেই ড্রোন বানাচ্ছি। এখন যারা ড্রোন কিনতে চান, তারা আমাদের কাছে দরপত্র দাখিল করতে পারেন।

শিয়াপন্থী এই প্রতিরোধ যোদ্ধা জানান, মানসম্মত রকেটকে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্রে রূপান্তর করতে পারে হিজবুল্লাহ। ইরানের বিশেষজ্ঞরা এ কাজে তাদের সহায়তা করছেন বলেও জানান তিনি। হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলের ড্রোন ব্যবহার ক্রমাগত বেড়েছে। এ কারণেই হিজবুল্লাহ ড্রোন উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছে।

ড্রোন, ফাইল ছবি

প্রসঙ্গত, দখলদার ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী সংগঠন হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে একে অপরকে শত্রু বলে মনে করে। ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে একাধিকবার আনুষ্ঠানিক যুদ্ধেও জড়িয়েছে। এ ছাড়া ছোট-খাট হামলা ও পাল্টা হামলা তো লেগেই আছে।

ইরানের পরমাণু সক্ষমতার পর হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতাকে সবচেয়ে বেশি হুমকি হিসেবে অভিহিত করে আসছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা। এ জন্য ইরানের মতোই নানাভাবে হিজবুল্লাহকে দমন করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা।

সাইয়েদ নাসরুল্লাহর দাবি, লেবাননের আকাশ প্রতিরক্ষায় ১৯৯৭ সালের পর থেকে মনোযোগ দিয়েছে হিজবুল্লাহ। এ কারণে তারপর থেকে লেবাননের ওপর দখলদারদের যুদ্ধবিমানের চলাচল কমে গেছে। এ সময় শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথাও বলেন তিনি।

হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, লেবাননের ঘরে ও বাইরে নানা প্রতিকূলতা বিরাজ করছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও লেবাননকে রক্ষা করছে হিজবুল্লাহ। একই সঙ্গে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং জেরুজালেম ও অন্যান্য পবিত্রস্থানের ওপর নজর রয়েছে প্রতিরোধ সংগঠনটির।