পর্যটক টানতে বরফ চাষ!

দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকার রকি পর্বতমালার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত আইস পার্কটি। এটি আনকোমপাহগ্রে নদী দিয়ে নির্মিত একটি সরু বক্স গিরিখাতের মুখে অবস্থিত। এটি ঐতিহাসিকভাবে এটি খনির শহর হলেও এখন পর্যটনশিল্পই যেন প্রধান হয়ে উঠেছে। আর ওই দৃষ্টিকোণ থেকেই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমেরিকার সুইজারল্যান্ড’। আর পর্যটক আকর্ষণ করতে এই বিনোদনকেন্দ্রে চাষ করা হয় কৃত্রিম বরফ। বিবিসি।

আমেরিকার সুইজারল্যান্ড খ্যাত পার্ক

আমেরিকার কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের আওয়ারে শহরে বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের জন্য একটি উদ্যানশহর হিসেবে খ্যাত। পর্যটনের দেশ সুইজারল্যান্ডের মতোই আকর্ষণীয় এই ‘আওয়ারে আইস পার্ক’। পাহাড় আর গিরিখাতের ওপরই থরে থরে সাজানো হয়েছে বরফরাজ্য। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা ওই বরফের ওপর দিয়েই আইস স্কেটিং কিংবা আইস ক্লাইম্বিংয়ের স্বাদ গ্রহণ করেন পর্যটকরা। বছরে গড়পড়তা ২০ হাজার পর্যটক আসে এই পার্কে।

বছরের শেষদিক অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকেই মার্কিন পর্যটকদের লক্ষ্য থাকে আওয়ারের বিনোদন কেন্দ্র ভ্রমণ। বিশেষ করে এই পার্কে এসে আইস স্কেটিং না করলে যেন তাদের বেড়ানোই অর্থহীন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই পার্কের জলপ্রপাত কিংবা বরফের পাহাড় কোনোটাই প্রাকৃতিক নয়। এগুলো তৈরি করেছে বরফ চাষিদের একটি ছোট দল।

আমেরিকার সুইজারল্যান্ড খ্যাত পার্ক

পাহাড়ের ওপর বিশেষ পদ্ধতিতে পানি স্প্রে করে তৈরি করা হয় বরফের দেয়াল। নভেম্বর থেকে যখন তাপমাত্রা কমে যায়, তখন থেকেই চাষিরা শিলাকে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া শুরু করে। চাষিদের ব্যাপক কায়িক পরিশ্রমে তৈরি হয় ওই বরফশিল্প। অর্ধেক চাষির কাজ বরফ সৃষ্টি করা, আর বাকি অর্ধেক নিয়োজিত থাকেন বরফরাজ্যের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের কাজে।

তবে বরফ চাষের মৌসুম শেষ হয়ে গেলে সাধারণত মার্চ মাসে পার্কটি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বরফচাষিরা অন্যান্য কাজে জড়িত হয়ে পড়েন। পুরো নির্মাণপ্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগে চারদিন।