সৌদির চাপে ইরানকে কঠোর বার্তা পাকিস্তানের!

বিভিন্ন ধরনের চড়াই-উতরাই আর টানাপোড়েনের পর পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্কে বরফ গলছে। এর অংশ হিসেবে আগামী মার্চে ইসলামাবাদ সফরের কথা রয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। দেশটিতে গত ৩ বছরের মধ্যে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের এটি দ্বিতীয় সফর।

ইরান ও পাকিস্তানের অবস্থান, ফাইল ছবি

মিডল ইস্ট আই জানায়, সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করে গেছেন সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সৌদ বিন নাইফ। ওই সফরের পরে সর্বোচ্চ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ইরানে পাঠায় ইমরান খানের সরকার। সফরে এই অঞ্চলে সক্রিয় প্রক্সি সংগঠনগুলোকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানায় ইসলামাবাদ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রিয়াদের চাপে এমন সুরে কথা বলার পর গত সপ্তাহে পাকিস্তান সফরে যান ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ভাহিদি। এই সফরে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সেনাপ্রধান কামার বাজওয়া ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

ইমরান খান ও মুহাম্মদ বিন সালমান, ফাইল ছবি

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে খুব একটা সুবিধা হয়নি তেহরানের। ইরান আঞ্চলিক বিদ্রোহীদের সহায়তা দেওয়া বন্ধ না করলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেয় ইসলামাবাদ। হঠাৎ ইসলামাবাদের এমন কঠোর হওয়ার পেছনে গত ২ ফেব্রুয়ারি বেলুচিস্তানের দুটি সেনা ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা রয়েছে বলে মনে করা হয়।

বেলুচ বিদ্রোহীদের হামলায় সেখানে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। ঘাঁটি দুটির নিয়ন্ত্রণ নিতে দুই দিন যুদ্ধ করতে হয়। পাকিস্তানের বিশ্বাস, ইরানের অভ্যন্তরে ঘাঁটি গেড়ে আছে বেলুচ বিদ্রোহীরা, সেখান থেকে এসেই তারা পাকিস্তানে হামলা চালায়। এ নিয়ে ইরানের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ পাকিস্তান।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইমরান খান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভূ-রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে প্রতিপক্ষ এই দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে দেখা করায় পাকিস্তানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। যা এবার অবসান হওয়ার পথে।