কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পারমাণবিক চুক্তি!

পশ্চিমা পক্ষ চাইলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পারমাণবিক চুক্তি সম্পন্ন হওয়া সম্ভব বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। দ্য গ্লোবাল কনভারসেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, তেহরান পারমাণবিক নীতি নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে আলোচনায় নমনীয়তা এবং গুরুত্ব দেখিয়েছে। তবে কিছু বাধা এখনও রয়ে গেছে। আমরা তাদের খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, পশ্চিমা দিক থেকে উদ্যোগ এবং নমনীয়তা দেখানো হলেই খুব ‌দ্রুত চুক্তি পুনর্বহাল হয়ে যাবে। আইএলএনএ নিউজ।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আমরা ভিয়েনার আলোচনার বাইরে প্রতিপক্ষের সাথে বন্দি বিনিময় করতেও প্রস্তুত। আমরা এটিকে শতভাগ মানবিক সমস্যা বলে মনে করি। এর ফলে বিদেশে বসবাসরত ইরানিরা একটি নতুন ওয়েব-ভিত্তিক যাচাইকরণ ব্যবস্থার অধীনে দেশে ফিরতে পারবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি না যে, ইরান একটি বিচ্ছিন্ন দেশ। একতরফা ও বেআইনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য কিছু সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ২০১৫ সাল থেকে তিনটি ইউরোপীয় দেশ- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি ইরানের জন্য কিছু সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের বিচ্ছিন্নতা ঘটেনি।

আমরা একটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কিছু বিষয় অবশিষ্ট আছে যা আমাদের মধ্যে বাধা হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত, আমরা অনেক উদ্যোগ নিয়েছি এবং ভিয়েনা আলোচনার টেবিলে প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছি। চুক্তির বিষয়ে আমরা আগের চেয়ে কাছাকাছি আছি, এর অন্যতম কারণ হল আমরা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আমেরিকানদের দাবিগুলো জানিয়েছি। এখন পশ্চিমাদের দিক থেকে উদ্যোগ এবং নমনীয়তা দেখানোর পালা।

আমরা বিশ্বাস করি, যদি পশ্চিমা পক্ষ ভিয়েনায় যা ঘটছে তা আরও বাস্তবসম্মতভাবে দেখে, তাহলে কয়েক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আমরা চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে পারব। চুক্তির বাস্তবায়ন এখন পশ্চিমা পক্ষের হাতে। এটা তাদের বাস্তবতা এবং উদ্যোগের উপর নির্ভর করে। আমরা আলোচনার টেবিলে থাকব, নিজেদেরকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরব।

হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সময় ইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বোরেলের সাথে আমার আলাপ হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমার সহকর্মীরা ভিয়েনায় থাকবেন, একটি দ্রুত এবং ভাল চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে গুরুত্ব ও অনুপ্রেরণার সাথে নিজেদের প্রয়োগ করবেন। এখন যদি অন্য পক্ষ প্রয়োজনীয় নমনীয়তা এবং সৃজনশীলতা না দেখায়, তাহলে আলোচনা ব্যর্থ হলে তারাই দায়ী থাকবে।