ষড়যন্ত্রকারীরা মোদি-হাসিনার সামনে টিকতে পারেনি, পারবেও না

ভারত ও বাংলাদেশে ‘ষড়যন্ত্রকারীরা’ রয়েছে উল্লেখ করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেছেন, তারা নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার সামনে অতীতে টিকতে পারেনি। আগামীতেও কিছু করতে পারবে না তারা। আজ বুধবার ত্রিপুরার আগরতলায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে কথা বলছেন বিপ্লব কুমার দে

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করেছে ভারত। এই অঞ্চলের স্থায়ীত্ব এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে দিল্লি, এটা আমাদের দায়িত্ব। মানবিক কারণে ঢাকার পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব ছিল, সেটাই করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আর্থিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখিয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা যে সুযোগ্য, সেটি প্রমাণ করেছেন শেখ হাসিনা। জিডিপির ক্ষেত্রে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ঢাকা। তেমনি চা বিক্রি থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর চৌকিদারি করছেন নরেন্দ্র মোদি।

অনুষ্ঠানে কথা বলছেন হাছান মাহমুদ

উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে জানিয়ে বিজেপি নেতা বিপ্লব কুমার দে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে চুক্তি, মৈত্রী সেতু হয়েছে এবং পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের করিডর হবে ত্রিপুরা। এর ফলে আর্থিকভাবে বাংলাদেশও লাভবান হবে।

অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরাসহ ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার উদ্যোগে দুই দেশের এই সম্পর্ক আরো মজবুত হচ্ছে। চলচ্চিত্র উৎসব এই মধুর সম্পর্ককে আরো মজবুত করবে।

তারা ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মমতাজ বেগম, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন, আগরতলায় ঢাকার সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ প্রমুখ।