ইউক্রেনে যে অস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ সেনারা

ইউক্রেনে রাশিয়ানরা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। আতঙ্ক ছড়িয়ে সোনালি  বিমানের মতো উড়ে যায় অস্ত্রগুলো। এর একটির নাম টিওএস-১। অস্ত্রটির দ্বারা নির্দিষ্ট দূরত্বের স্থাপনায় কিংবা লক্ষ্যে আঘাত হানা হয় প্রাণঘাতী আগুনের গোলা। ডাকনাম বুরাটিনো, পিনোচিওর রাশিয়ান সংস্করণ। বড় নাকের কারণে এটিকে রাশিয়ার প্রচলিত অস্ত্রাগারের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্রগুলোর একটি হিসেবে মনে করা হয়। দ্য গার্ডিয়ান। 

ইউক্রেনে যে অস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ সেনারা

একটি টি-৭২ ট্যাংকের চেসিসে মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমসহ এটি বসানো হয়েছে। টিওএস-১ থার্মোবারিক রকেট ছুঁড়তে সক্ষম যা উচ্চ-তাপমাত্রার বিস্ফোরণ ঘটাতে পার্শ্ববর্তী বায়ু থেকে অক্সিজেন ব্যবহার করে।

ভয়ঙ্কর এ অস্ত্র সোভিয়েত সামরিক বাহিনী প্রথম মোতায়েন করেছিল আফগানিস্তানে। সম্প্রতি এর ব্যবহার দেখা গেছে সিরিয়ায়। ইউক্রেনেও এটি ব্যবহার করছে রাশিয়ান সেনাবাহিনী এবং তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী মিত্ররা। ইতোমধ্যেই দেশটির পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনে তাদের আক্রমণের সময় নির্বিচারে বিএম-২১ গ্র্যান্ড মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে টিওএস-১ ব্যবহার করেছে।

ইউক্রেনে যে অস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ সেনারা

বেলিংক্যাট তদন্তকারী ওয়েবসাইটটি ইউক্রেন আক্রমণে উরাগান ও স্মারচ ক্লাস্টার রকেট এবং তাদের সাবমিনিশনগুলোর সন্দেহভাজন ব্যবহারের প্রমাণ সংগ্রহ করছে।

আক্রমণের সময় বেসামরিক এলাকায় একাধিক লঞ্চ রকেট সিস্টেম এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইতোমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ঘনবসতিপূর্ণ বিস্তৃত এলাকায় প্রভাবশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহার করে বেসামরিক জীবনের প্রতি নির্লজ্জ অবহেলা দেখিয়েছে।

রাশিয়ার হামলায় কিয়েভে নরকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শত শত মানুষ রাজধানী শহর ছাড়ছে। ইতোমধ্যে রাশিয়ার আলোচনার প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে তিনি আত্মসমর্পণ করতে ইচ্ছুক নন। যতক্ষণ সম্ভব তিনি সেনাদের রুশ দখলদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।