দুর্দান্ত আক্রমণভাগ নিয়ে মধুর সমস্যায় বার্সা

লিওনেল মেসি, অ্যান্টনি গ্রিজম্যানরা চলে যাওয়ার পর আক্রমণভাগে অনেক ভুগতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। সেই ভোগান্তির ইতি টেনেছেন জাভি হার্নান্দেজ। কোচ হয়ে আসার পর গত জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে বেশ কয়েকজন তারকা ফরোয়ার্ডকে দলে ভিড়িয়েছেন সাবেক স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। তাতেই পজিশনটিতে দুর্দান্ত হয়ে উঠেছে কাতালানরা।

আউবামেয়াং, ডি ইয়ং, ডিপেই ও ডেম্বেলে

বর্তমানে বার্সেলোনার আক্রমণভাগে আছেন পিয়েরে এমেরিক আউবামেয়াং, মেম্ফিস ডিপেই, লুক ডি ইয়ং, উসমান ডেম্বেলে, আদামা ত্রাওরে, ফেররান তরেসদের মতো দারুণ সব ফরোয়ার্ডরা। এদের মধ্যে সবশেষ শীতকালীন দলবদলে ক্যাম্প ন্যুতে এসেছেন আউবামেয়াং, আদামা ত্রাওরে ও ফেররান তরেস। একই পজিশনে এতগুলো খেলোয়াড় থাকায় এখন মধুর সমস্যায় পড়তে হয়েছে ব্লুগ্রানারদের।

বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন আউবামেয়াং। আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতার সাথে সম্পর্ক চরমে পৌঁছায় ফ্রিতেই তাকে পেয়েছে হুয়ান লাপোর্তার নেতৃত্বাধীন বার্সেলোনা বোর্ড। দেখে বোঝার উপায় নেই কিছুদিন আগেই এসেছেন কাতালুনিয়ায়। সতীর্থদের সাথে খুব সহজে মিশে গেছেন গ্যাবনিজ তারকা। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পাঁচ গোল করেছেন আউবামেয়াং।

জাভি হার্নান্দেজ

ইনজুরির কারণে দেড় মাসের মতো মাঠের বাইরে ছিলেন ডিপেই। লিগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অ্যাটলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই গোল করেছেন এই ডাচ ফুটবলার। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৯ গোল করেছেন তিনি, যেটা বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ।

বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর শুরুর দিকে ফর্মে ছিলেন না ডি ইয়ং। ধীরে ধীরে স্বরূপে ফিরছেন এই স্ট্রাইকার। বিলবাওয়ের বিপক্ষে বড় জয়ের দিনে একবার লক্ষ্যভেদ করেছেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। এখন পর্যন্ত কাতালানদের জার্সিতে মোট পাঁচবার জালের দেখা পেয়েছেন ডি ইয়ং।

বেতন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় জানুয়ারিতে ডেম্বেলেকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল বার্সেলোনা। এই ফরাসি তারকাও আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। সবশেষ ম্যাচে শুরুর একাদশে তাকে রাখেননি জাভি। বদলি হিসেবে নেমে একটি গোল করেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

জানুয়ারির দলবদলে তরেস ও ত্রাওরে বার্সা শিবিরে যোগ দেওয়ায় নিঃসন্দেহে কাতালানদের আক্রমণভাগের শক্তি বেড়েছে। বিষয়টি কাতালান পরিচালক জর্ডি ক্রুইফের কথাতেই স্পষ্ট। বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘একজন কোচের জন্য জানা গুরুত্বপূর্ণ যে, দলের জয়ে সবার অবদান আছে এবং সবাই দলকে সাহায্য করছে। তাছাড়া এটা অবশ্যই স্বস্তিদায়ক যে, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় আছে।’