কৃষিমন্ত্রী: তেলের দাম না বাড়ালে আমদানি করবেন না ব্যবসায়ীরা

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের খবরে বিশ্ববাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে জ্বালানি ও ভোজ্যতেলের দাম, যা এখন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। সংঘাত শিগগিরই বন্ধ না হলে আরো মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় ভোজ্যতেলের দাম দেশে ‘কিছুটা’ না বাড়ালে আমদানি কমে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

আব্দুর রাজ্জাক, ফাইল ছবি

আজ শনিবার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে অনেকটা বেড়েছে, এটি আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটাতে হয়। ফলে তেলের দাম কিছুটা না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা আমদানি করবে না। তারপরেও পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল আনার চেষ্টা করছে সরকার।

বাজার নিয়ন্ত্রণে ‘মনিটর’ ব্যবস্থা কঠোর করার কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর উন্নত দেশগুলোর কৃষকরা আবাদ করেননি। এরমধ্যে আবার ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতে দেখা দিয়েছে। এসবের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। মোটা চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সরু চালের দাম এখনো কিছুটা বেশি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মুদি দোকান, ফাইল ছবি

দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলটির প্রেসিডেয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি এখন আন্দোলনে ‘হাওয়া’ দিতে পারছে না, পায়ের নিচে মাটি নেই। ২০১৫ সাল থেকে হরতাল দিতে পারেনি, দেশে কখনো আর হরতাল হবে না। ২০১৪ সালের মতো দেশে ফের অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে দলটি। এবার আন্দোলনের নামে গাড়ি পোড়ালে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাসের তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। সেই থেকে চলমান এই সংঘাতের আজ শনিবার দশম দিনে পৌঁছেছে। দেশটির মারিওপোল ও ভোলনোভখারে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও তা পুরোপুরি বন্ধের আভাস মিলছে না এখনো।