ইউক্রেন যুদ্ধ: চেলসির দশা হল ওয়েস্টহামের

ইউক্রেন যুদ্ধের ভালোই প্রভাব পড়েছে ইংলিশ ফুটবলে। বিশেষ করে চেলসির কথা বলতেই হয়। পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটি রাশান মালিকানাধীন। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জের ধরে ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ান চেলসির কর্ণধার রোমান আব্রামোভিচ। স্বপ্নের প্রকল্প বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু আব্রামোভিচের ক্লাব বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য সরকার।

চেলসি ও ওয়েস্টহামের লোগো

ফলে শুরু হতে না হতেই স্থগিত হয়ে যায় চেলসি বিক্রির প্রক্রিয়া। এবার ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ল ইংলিশ আরেক ক্লাব ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডের ওপর। লন্ডনের এই ক্লাবের বেশির ভাগ অংশের মালিক দুই ব্রিটিশ ডেভিড সুলিভান ও ডেভিড গোল্ড। দুজনই ২০২৩ সালের মধ্যে ওয়েস্টহামের মালিকানা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার রাতে ক্লাবের মালিকানা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

২০২১ সালে সুলিভান এবং গোল্ড ক্লাব মালিকানার ২৭ শতাংশ বিক্রি করে দেন চেক প্রজাতন্ত্রের বিলিওনিয়ার ড্যানিয়েল ক্রেটিনস্কির কাছে। ক্লাবের মালিকানার বেশির ভাগ অংশ কিনে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সুলিভান এবং গোল্ডের সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়। আলোচনায় জল ঢেলে দিল যুক্তরাজ্য সরকার। ফলে ওয়েস্টাম বিক্রির প্রক্রিয়াও স্থগিত হলো।

চেলসির খেলোয়াড়দের উল্লাস

কিন্তু সমস্যা কোথায়? তিন পক্ষের কেউ-ই তো রাশিয়ান নন। বিপত্তি লেগেছে ক্রেটিনস্কির পাইপলাইন প্রতিষ্ঠান ইপি। স্লোভাকিয়ান এই প্রতিষ্ঠানের ৪৯ শতাংশের মালিক তিনি। এই পাইপলাইন কোম্পানির মাধ্যমেই ইউরোপজুড়ে গ্যাস সরবরাহ করে থাকে রাশিয়া। ফলে ইপির পুরো বাণিজ্যিক কার্যক্রমই রাশিয়ার সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাজ্য সরকার চাইছে না ক্রেটিনস্কির অধীনে ওয়েস্টহামের অধিকাংশ মালিকানা চলে যাক।

ওয়েস্টহামের বেশির ভাগ মালিকানা নিতে চেক বিলিওনিয়ারের খরচ হতো ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড। যেটা দিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন ক্রেটিনস্কি। কিন্তু এখন আর তা হচ্ছে না। ফলে বাইরে নয়, মাঠের ভেতরেই আপাতত মনেযোগ দিতে হচ্ছে লন্ডনের ক্লাবটিকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই মৌসুমে সেরা চারে থাকার লড়াইয়ে আছে ওয়েস্টহাম। আপাতত লিগ তালিকায় তাদের অবস্থান ছয়ে। আজ অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মাঠে নামবে ওয়েস্টহাম।