সস্তায় তেল কিনতে গিয়ে বিপাকে ভারত!

ইউক্রেনের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পশ্চিমা বিশ্বের শত্রুতা কিনেছে রাশিয়া। হাজার হাজার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপে হাঁসফাঁস করছে দেশটি। এ অবস্থায় ভারতের মতো বড় ক্রেতার জন্য বিশেষ ছাড়ে অপরিশোধিত তেল বিক্রির ঘোষণা দেয় মস্কো। নয়াদিল্লি সে সুযোগ নিতে চাইলেও তাকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এ তেল কেনার আগে দুবার ভাবুন।

নরেন্দ্র মোদি ও পুতিন

তেল নিয়ে ভারত-রাশিয়ার সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি গতকাল বুধবার বলেন, আমি মনে করি না এটা নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন হবে। তবে এই মুহূর্তে ইতিহাসের বই লেখা হলে আপনি কোথায় দাঁড়াতে চান তা নিয়ে একটু ভাবুন। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের পর ইতিহাসে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।

রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বিষয়টি মস্কোর নেতৃত্বকে সমর্থন করার মতোই একটি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি 

আপাতত চুক্তিটি পশ্চিমের অর্থনৈতিক শাস্তির সাথে দ্বন্দ্বে আসবে না বলে উল্লেখ করলেও জেন সাকি বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো মেনে চলতে যেকোনো দেশের প্রতি আমাদের স্পষ্ট বার্তা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে, রাশিয়া ভারতকে তেল ও গ্যাস সেক্টরে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানায় এবং দেশটির বৃহত্তম অর্থনীতিতে রাশিয়ান কোম্পানিগুলোর বিক্রয় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

এশিয়ার অনেক দেশের মতো ভারতও চলমান এই সংঘাতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার চেষ্টা করছে। পশ্চিমা মিত্ররা ভারতকে ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের নিন্দা করতে উৎসাহিত করেছে। তবে নয়াদিল্লি হিসাব করছে, রাশিয়ার সাথে তার যেসব দীর্ঘমেয়াদি সামরিক চুক্তি রয়েছে পশ্চিমাদের কথা মানতে গেলে সেগুলো নস্যাৎ হয়ে যাবে।

রাশিয়াকে পুরোপুরি সমর্থন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের বিরাগভাজনও হতে চাইছে না ভারত। ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও এসব দেশে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাজ করে থাকেন। সুতরাং পশ্চিমা বিশ্বকে খেপিয়ে তুললে এসব ক্ষেত্রে ভারত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। এসব কারণেই নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছে ভারত।