সাকিব ও মুশফিকে ২৬৭ রান

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ শুরুর আগে সুনিল গাভাস্কার উইকেট দেখে বলেছেন, এটি রানপ্রসবা। প্রচুর রান হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা 'ভুল' প্রমাণ করেছেন তাকে। করতে পেরেছেন মোটে ২৬৭ রান। সব উইকেট হারিয়ে। এই রান একেবারে ফেলে দেওয়ার সংগ্রহ নয়; কিন্তু বিশ্বকাপের অন্য ম্যাচগুলোর রানবন্যার দিকে তাকালে কমই মনে হচ্ছে। এই রানও এলো পঞ্চম উইকেটে সাকিব ও মুশফিকের ১১৪ রানের অনিন্দ্য সুন্দর জুটিতে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই রানই যথেষ্ট হওয়া উচিত বাংলাদেশের। কিন্তু রান আর বেশি হলো না কেনো? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক।

ওপেনিং জুটিতে এনামুল ও তামিম তুলেন ৪৭ রান। সেটিও ১৪ ওভার তিন বলে। তামিম যে ধরনের ব্যাটিং করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, সে ধরনের ব্যাটিং এখন প্রায় ভুলেই গেছেন তিনি। এই ম্যাচেও দেখা গেছে তার শম্ভুক গতির বিরক্তিকর ব্যাটিং। ব্যাটিং উইকেটে বিরক্তিকর ব্যাটিংয়ে অবশ্য তাকে ছাড়িয়ে গেছেন তার ওপেনিং সঙ্গী এনামুল হক বিজয়। তামিম আউট হয়েছেন ৪২ বলে ১৯ রান করে। তারপর দলীয় ৫২ রানে এনামুল বিদায় নিয়েছেন ৫৫ বলে ২৯ রান করে। আধুনিক ক্রিকেটে ওপেনারদের আক্রমণের যে অঘোষিত নিয়ম, তা যেনো ড্রেসিংরুমে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তারা। 

ওপেনারদের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সাময়িক সামাল দেন রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। ২৬ তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১০২ রানে বিদায় নেন সৌম্য। বিশাল এক ছয় ও তিনটি চার মেরে দারুণ কিছুর আভাস দিলেও তা পারেননি তিনি। আউট হয়ে গেছেন ২৫ বলে ২৮ রান করে। চার উইকেট পতনের পরই ত্রাতা হয়ে আবির্ভুত হন সাকিব- মুশফিক। ১১৪ রানের জুটি গড়ে দলকে দেশকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষার সাময়িক ব্যবস্থা নেন তারা।

শেষ পর্যন্ত মুশফিক করেন ৭১ রান। তার আগে ৬৩ করে আউট হন সাকিব। এই জুটির স্থায়িত্ব আরেকটু বাড়লে নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যেতো বাংলাদেশ। তা না হওয়ার আফসোস তাই থাকছেই।

আফগানিস্তানের হয়ে চার জন বোলার দুটি করে উইকেট নেন। বাংলাদেশকে অনেকটা চমকেই দেন তারা। যে চমকের শুরুটা অবশ্য করে দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার- তামিম ও এনামুল! সাকিব- মুশফিকদের এনে দেওয়া সংগ্রহের উপড় দাঁড়িয়ে বোলাররা এখন নিজেদের খেলাটা খেললেই হয়।

আপনি আরো পড়তে পারেন

সবার আগে সাকিবের ৪ হাজার

ম্যাচের আগে মাশরাফি যা বললেন

বাউন্সের ভয় দেখাচ্ছে আফগানিস্তান