রাশিয়ার সর্বনাশে কাতারের পালে হাওয়া!

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে গ্যাসসহ জ্বালানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার ওপর আবার মস্কোকে একঘরে করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান এই সংঘাতের প্রভাবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো।

রোব্যার্ট হাবেক ও কাতারের আমির শেখ তামিম

পরিস্থিতি মোকাবেলায় রুশ তেল-গ্যাস ও কয়লার ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। এর অংশ হিসেবে গ্যাসের ক্ষেত্রে মস্কোকে ছেড়ে কাতারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পথে এগিয়েছে জার্মানি। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাড়তি পেট্রোলিয়াম আনার পথে হাঁটছে দেশটি।

ডয়চে ভেলে জানায়, পেট্রোলিয়াম ও কয়লার বিকল্প উৎস খোঁজা যতটা সহজ, তার চেয়ে বেশ কঠিন প্রাকৃতিক গ্যাসের বিষয়টি। পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আনা এই গ্যাসের ক্ষেত্রে অবকাঠামোসহ একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সে কারণে সমস্যায় পড়া বার্লিন এখন আংশিক হলেও কাতারমুখী হয়েছে।

কাতারের গ্যাস নিতে চায় জার্মানি

সম্প্রতি দোহা সফরে গিয়ে দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জ্বালানির সরবরাহ নিয়ে আলোচনা করেছেন জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী রোব্যার্ট হাবেক। সেখানে দীর্ঘমেয়াদী বোঝাপড়ার পথে দুই দেশের আলোচনা আগাচ্ছে, তবে চুক্তির খসড়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী সফরসঙ্গী জার্মানির বৃহৎ কোম্পানির শীর্ষ প্রতিনিধিরা গ্যাস আমদানি নিয়ে কাতারের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্তে কাজ করছেন। এ নিয়ে প্রকাশ্যে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি দোহা। তারা দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রচেষ্টা চালিয়ে আসলেও বার্লিনের সাড়া মেলেনি এতদিন, সেটি এখন এনে দিয়েছে ইউক্রেন সংকট।

জার্মানির মতো একইভাবে কাতারের দিকে এগুতে পারে ইউরোপের অন্য কয়েকটি দেশও। কেননা, নিজেদের প্রাকৃতিক গ্যাস এই মহাদেশে রপ্তানি করতে তুরস্কের ভেতর দিয়ে পাইপলাইন তৈরির এক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে আসছে দোহা। সেটি এবার আরো গতিশীল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।