ইমরান খানের একমাত্র ‘ট্রাম্প কার্ড’ সম্পর্কে জানালেন মরিয়ম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলছেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হলেও তার সরকার টিকে থাকবে, তার হাতে ‘ট্রাম্প কার্ড’ রয়েছে। সেদিকে ইঙ্গিত করে খোঁচা দিয়েছেন দেশটির বিরোধী দল মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ। গতকাল শুক্রবার লাহোরে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, পদত্যাগ করাই তার একমাত্র ‘ট্রাম্প কার্ড’।

ইমরান খান ও মরিয়ম নওয়াজ, ফাইল ছবি

পাকিস্তানের জনগণ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সমাবেশে আসবে মন্তব্য করে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, ইমরান খানকে বাড়ি ফেরাতে মানুষ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। জনগণের অভিশাপের কারণে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হচ্ছে। ইসলামাবাদে গেলেই তার কাছ থেকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করে মানুষ।

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ, পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ দিয়ে সমাবেশ করার অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। বানিগালার ভবনে লুকিয়ে রাখা অর্থের খোঁজ পেয়ে যেতে পারে মানুষ, সেই ভয়ে আছেন ইমরান খান। তবে কেউ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে না, এখন তার ভিক্ষা চাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

সমাবেশে মরিয়ম নওয়াজ

একইদিন পিটিআইয়ের বিশাল সমাবেশে ইমরান খান বলেন, তিন কাপুরুষ আমাকে অভিশাপ দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, তাদের অসৎ মিশন কোনোভাবেই সফল হবে না। বিরোধী জোটের এই তিন নেতা হলেন- জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান, পিএমএল-এন প্রধান শাহবাজ শরীফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারি।

এর আগে পাকিস্তানের স্পিকার আসাদ কায়সারের ডাকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নিম্নকক্ষে অধিবেশন বসে গতকাল শুক্রবার। অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের আগেই আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করেছেন স্পিকার। ওই দিন প্রস্তাবটি উঠতে পারে এবং ভোটাভুটিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশটির ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদ, এমএনএ-এ ১৫৫ জন পিটিআই সদস্য এবং অন্য ৬ দলের ২৩ সদস্যের সমর্থন রয়েছে। ইমরান খানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অনাস্থা প্রস্তাব সফল করতে হলে বিরোধী দলগুলোকে ন্যুনতম ১৭২ জন এমএনএ’র সমর্থন পেতে হবে। পিটিআইয়ের ২৪ জন সদস্য দল ত্যাগ করে বিরোধী পক্ষে যোগ দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে ক্ষমতাসীন দলটি।