রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মিসাইল উৎপাদন বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন মিসাইল তথা ক্ষেপণাস্ত্রের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। ইউক্রেন সরকার দেশটির কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক মিসাইল কিনছে। এ অবস্থায় মজুদে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় মিসাইলের উৎপাদন বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মিসাইল উৎপাদন বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ছবি- ডিফেন্স নিউজ

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধের কারণে প্রতিদিন ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণে মিসাইল সরবরাহ করতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মিসাইলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণ করতেই মূলত মিসাইল উৎপাদন বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন।

সিএনএন বলছে, প্রতিদিন ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৫০০টি স্টিঙ্গার এন্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল এবং ৫০০টি জ্যাভেলিন এন্টি-ট্যাংক মিসাইল চায়। সম্প্রতি কিয়েভের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চাহিদা পত্রও ওয়াশিংটকে দেওয়া হয়েছে। যেখানে অন্যান্য অস্ত্রের চাহিদার কথা উল্লেখ করেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৭ মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ যুদ্ধের দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেনকে ১৭ হাজার এন্টি-ট্যাংক মিসাইল দিয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ের মধ্যে দেশটিকে দুই হাজারের বেশি এন্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইলও দেওয়া হয়েছে। একই ধারায় এখনও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র পাচ্ছে ইউক্রেন। এই ঘাটতি পূরণ করতেই অস্ত্রের উৎপাদন বাড়াতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। অবশ্য এক্ষেত্রে প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে না।

হোয়াইট হাউস এক ঘোষণায় গত ১৬ মার্চ জানায়, সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে ৮০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে আরও ৮০ কোটি ডলারের স্টিঙ্গার এন্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম এবং দুই হাজার জ্যাভেলিন এন্টি-ট্যাংক মিসাইল সিস্টেম প্রদানের ঘোষণাও দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, এতদিন স্টিঙ্গার উৎপাদন বন্ধ করে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আবারো অস্ত্রটির উৎপাদন শুরু করছে দেশটি। ইতোমধ্যে কারখানাগুলোতে কর্মী নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। অবশ্য এক্ষেত্রেও মিসাইল উৎপাদনের পরিমাণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।