আপনি পড়ছেন

ইউক্রেনে খাদ্যাভাবে পড়েছে রাশিয়ার সেনারা। খাবারের জন্য হাত পাতছে ইউক্রেনীয়দের কাছে। দেশটিতে মুহুর্মুহু শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। শহরের রাস্তাগুলোও সুনসান! কোলাহল নেই! আগের মতো গাড়ির শব্দও শোনা যায় না। কিছুক্ষণ পরপরই একটি করে অ্যাম্বুলেন্স চলছে হাসপাতালের দিকে। এক কথায় তীব্র হয়ে উঠেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। গোলবারুদ সংকটে পড়েছে ইউক্রেন। আরও বেশি বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে রুশ সেনারা। গার্ডিয়ান, সিএনএন, এবিসি, এনবিসি, রয়টার্স।

russian troops facing food crisis ukraineপশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইউক্রেনে খাদ্য সংকটে রুশ সেনারা

খাবার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে যুদ্ধপীড়িত দেশটির শহরে শহরে। সুপার মার্কেটের সারিবদ্ধ তাকগুলো শূন্য হয়ে আছে সরবরাহ সংকটের কারণে। কিয়েভ, ইরপিন, খারকিভ, চেরনিহিভের বড় বড় সুপার মার্কেটের খাবারের দোকানগুলো ‘খাঁ খাঁ’ করছে খাবারের অভাবে। উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে, টান পড়েছে সরবরাহেও।

একই অবস্থা রুশ বাহিনীরও। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত খাবার বহর পৌঁছাতে পারছে না সেনাদের কাছে। বাধ্য হয়ে শত্রু তথা ইউক্রেনীদের কাছেই খাবার চাইছে সেনারা। কিয়েভের ইভানকিভ ও ওরানের বসতিতে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের ঘাঁটিতে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। নিরুপায় হয়ে হামলা বন্ধ করে দরজায় দরজায় খাদ্যের সন্ধানে ছোটে সেনারা। সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই প্রশ্ন করেছে- খাবার কোথায়?

নিউ লাইন ম্যাগাজিনের অনুসন্ধানী সাংবাদিক জন সুইনি, কিয়েভের অদূরে একটি গ্রামবাসীর সাক্ষাৎকার নেন। গ্রামবাসী বলে, তারা (রাশিয়ান সৈন্য) খাবারের জন্য ভিক্ষা করছে। তারা খুব ক্ষুধার্ত। তারা গ্রামবাসীর কাছে এসে কিছু চায়। তাদের কমান্ডাররা চায় তারা যুদ্ধ করুক, কঠোর হোক। কিন্তু সেনারা কিয়েভকে ঘেরাও করার চেয়ে রাতের খাবার কী হবে তা নিয়েই বেশি চিন্তিত। তারা একই জায়গায় অবস্থান করছে সামনে বা পেছনে নয়।

আন্দ্রি পাস্তুশেস্কো (২৯) একজন দুগ্ধ খামার চাষি গার্ডিয়ানকে জানান, তিনি রাশিয়ার দখলে থাকা খেরসন শহর থেকে ১২ মাইল দূরে খামার দেখাশোনা করেন। সোমবার ১০ জন রাশিয়ান সেনা তার খামারের শস্যভাণ্ডারে ট্যাংক রেখে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর আরো কিছু সেনা সেখানে উপস্থিত হয়। কিন্তু পরদিন খেরসন বিমানবন্দরে ইউক্রেনীয় সেনারা গোলাবর্ষণ করে।

এরপর তারা খামার থেকে দুটি গাড়ি নিয়ে গাড়িতে প্যাকিং খাবারে পূর্ণ করে চলে যায়। যাওয়ার সময় কোনো টাকা প্রদান করেনি, শুধু বলে যায় শিগগিরই দেখা হবে।

বার্তা সংস্থা সিএনএনের বরাতে জানা যায়, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকটে রাশিয়া চীনের কাছে সামরিক খাদ্য সহায়তা চেয়েছে। তারা প্যাকিং করা সহজে পঁচেনা এমন আহার চেয়েছে, যা চীন আমেরিকায় রপ্তানি করে থাকে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, চীন সাহায্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পেন্টাগন গত সপ্তাহে এক ব্রিফিংয়ে দাবি করে, রুশ সৈন্যদের গরম কাপড়ের অভাবে, তুষারপাতের কারণে লড়াই থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ইউক্রেনে তাদের অগ্রগতি অনেকাংশ স্থবির হয়ে পড়েছে। রাশিয়ান সেনাদের মতো খাদ্য সংকটে পড়েছে শহরগুলোতে অবরুদ্ধ বেসামরিক নাগরিকরা। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ৪০ হাজার মানুষ অনাহারে। খারকিভের ৭০ শতাংশ বাসিন্দা সম্পূর্ণভাবে স্বেচ্ছাসেবীদের সরবরাহের ওপর নির্ভর হয়ে পড়েছে।

চেরনোবিলে অস্ত্রঘাঁটি: বেলারুশের সীমান্ত থেকে রাশিয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গোলাবারুদ সরবরাহ করে মজুত করছে চেরনোবিল শহরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে। এসব অস্ত্রের অধিকাংশই নিম্নমানের, যা যেকোনো সময় আত্মবিস্ফোরণ ঘটিয়ে জন্ম দিতে পারে নতুন পারমাণবিক বিপর্যয়।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ জানায়, বেলারুশের গোমেন অঞ্চলের নারালিয়ানস্ফি জেলার পেছনের ঘাঁটি থেকে রাশিয়া প্রতিদিন কয়েক ডজন টন স্বচালিত রকেট, হাউইটজার আর্টিলার শেল এবং মর্টার সরবরাহ করছে, যা পরিবহন করছে প্রপিয়াট শহরের রাস্তা দিয়ে। এরপর এগুলো মজুদ করা হচ্ছে চোরনোবিল শহরের প্রপিয়াটের কাছে। যেখান থেকে অল্প দূরে চোরনোবিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট অবস্থিত।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.