বিল পাস: জাদুঘরের নিদর্শন ক্ষতিতে ১০ বছরের জেল

জাদুঘর সংক্রান্ত একটি নতুন আইন করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতীয় সংসদ। এতে জাদুঘরের কোনো নিদর্শন ধ্বংস কিংবা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আজ বুধবার, ৩০ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল-২০২২ বিল সংসদে তুলে পাসের প্রস্তাব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলটির ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিলটি সংসদে তোলা হয় গত বছরের ১৮ নভেম্বর। এরপর তা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠান হয়েছিল এবং পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়।

জানা গেছে, এ সংক্রান্ত ১৯৮৩ সালের একটি অ্যধাদেশ বাতিল করে তার জায়গায় নতুন এই আইন করা হচ্ছে। নতুন এই আইনে জাদুঘরের জন্য একজন কিউরেটর ও সহকারী কিউরেটর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, বিদ্যমান অধ্যাদেশে সেটা ছিল না।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, জাদুঘরের স্থাবর নিদর্শন ধ্বংস কিংবা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। অপরদিকে, জাদুঘরের অস্থাবর নিদর্শন চুরি, ধ্বংস, নষ্ট, পাচার, পরিবর্তন অথবা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে।

সদ্য পাস হওয়া বিলটিতে বলা হয়েছে, জাদুঘরের নিদর্শনের ওপর কেউ খোদাই করলে কিংবা কিছু লিখলে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

সংস্কৃতিমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি করে জাদুঘর পরিচালনায় একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া আগের মতোই জাদুঘরের জন্য একজন মহাপরিচালক নিয়োগ করবে সরকার।

পাস হওয়া বিলে ‘ভার্চুয়াল জাদুঘর’ করার বিধান রাখার পাশাপাশি দেশের বাইরে এবং ঢাকার বাইরে প্রদর্শনীর করার সুযোগ থাকছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় জাদুঘর সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহগর ছাড়া যেকোনো জায়গায় শাখা জাদুঘর, স্মৃতি জাদুঘর, সংগ্রশালা, বিষয়-ভিত্তিক জাদুঘর, মহাফেজখানা এবং গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে।