ঝড়ে ছড়াচ্ছে ইউক্রেনের ভাসমান মাইন, তুরস্কে আরেকটি উদ্ধার

রাশিয়াকে জলপথে আটকে দিতে বন্দরে বন্দরে ভাসমান মাইন স্থাপন করেছে ইউক্রেনের নৌবাহিনী। রুশ বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ উড়িয়ে দিতে কৃষ্ণসাগরে ছড়িয়ে রাখা ইউক্রেনের মাইনগুলো এখন দিগভ্রান্ত। ঝড়ের কবলে পড়ে ভাসমান মাইনগুলো ক্যাবল থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। তেমনি একটি মাইন ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর থেকে ভাসতে ভাসতে তুরস্কে পৌঁছে গেছে।

ছড়িয়ে পড়ছে ইউক্রেনের ভাসমান মাইন, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার গার্ডশিপ

সোমবার আঙ্কারা জানিয়েছে, বুলগেরিয়ার কাছে নিজস্ব উপকূলে দ্বিতীয় ভাসমান মাইন শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধারণা, এটি ইউক্রেন থেকে ভেসে আসতে পারে। এটি নিষ্ক্রিয় করতে বিশেষজ্ঞদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবারও একটি মাইন শনাক্ত করে নিষ্ক্রিয় করেছিল তুর্কি নৌবাহিনী।

ইউক্রেনের স্থানীয় একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রাশিয়ার বাহিনীকে জলপথে আটকে দিতে বন্দরে বন্দরে ভাসমান মাইন স্থাপন করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহেরও বেশি আগে রাশিয়াও সতর্ক করেছিল যে, ইউক্রেনীয়রা আক্রমণকারী সৈন্যদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন করা কিছু মাইন ঝড়ের কারণে তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং বসফরাস প্রাণালী ও ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত সেগুলো প্রবাহিত হতে পারে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইটে জানিয়েছে, সোমবার কৃষ্ণসাগরে বুলগেরিয়ান সীমান্তের কাছে ইগনেদায় একটি মাইন শনাক্ত করা হয়েছে। সেটিকে সুরক্ষিত করে নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এর আগে ইস্তাম্বুলের উত্তরে বসফরাসের প্রবেশপথে, রুমেলিফেনেরি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একজন জেলে একটি মাইন দেখার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে তুর্কি নৌবাহিনী এটি নিষ্ক্রিয় করে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শনিবার বলেছেন, আঙ্কারা ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবে। বুধবার ইউক্রেনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ান ফেডারেশন (আরএফ) ইউনিটগুলো কৃষ্ণসাগরে মুক্ত-ভাসমান সামুদ্রিক মাইনগুলো নিষ্ক্রিয় করছে।

ওডেসা প্রতিরক্ষা কমান্ডের প্রধান সের্হি ব্র্যাচুক বলেছেন, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা নিশ্চিত করেছেন যে, ক্রিমিয়ান বন্দর সেভাস্তোপল ভিত্তিক আরএফ নৌবাহিনী মূলত কিয়েভের মালিকানাধীন সামুদ্রিক মাইন ব্যবহার করছে। মাইনগুলো সমুদ্রের স্রোতের ওপর দিয়ে চলে ভেসে গেছে। ইতোমধ্যেই ন্যাটো নৌবাহিনী রোমানিয়ান, বুলগেরিয়ান এবং তুর্কি আঞ্চলিক জলসীমার পাশে বা তার কাছাকাছি মাইনগুলো খুঁজে পেয়েছে।