তেল-কয়লা ছাড়লেও রাশিয়ার গ্যাস ছাড়ছে না জার্মানি!

রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোর আপত্তির কারণে এই খাতকে নিধেষাজ্ঞার আওতামুক্ত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। এখন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তেল-গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে মস্কো, তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে বিকল্প উৎসের সন্ধানে নেমেছে ইউরোপীয়রা।

ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানির চিত্র, ফাইল ছবি

উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও কানাডার দ্বারস্থ হয় জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও কাতার সাড়া দিয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ রুশ গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে অতিরিক্ত ১৫০০ কোটি ঘনমিটার এলএনজি সরবরাহ করবে ওয়াশিংটন।

এ ছাড়া ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য ৫ শতাংশ তেল রপ্তানি বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে কানাডা। আর মোট উৎপাদিত গ্যাসের ৫০ শতাংশ ইউরোপে রপ্তানির কথা জানিয়েছে কাতার। দেশটি থেকে গ্যাস কিনতে এরইমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে জার্মানিসহ ইউরোপের একাধিক দেশ।

ওলাফ শোলয, ফাইল ছবি

এমতাবস্থায় জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলয বলেছেন, এক বছরের মধ্যে তার দেশ রাশিয়া থেকে তেল ও কয়লা আমদানির ওপর নির্ভরতার অবসান ঘটাবে। তবে মস্কোর গ্যাস আমদানি অব্যাহত রাখবে বার্লিন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, রুশ জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে মন্দার কবলে পড়বে ইউরোপের অর্থনীতি।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বারবক বলছেন, রাশিয়ার জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরতা থেকে আমাদেরকে পুরোপুরি মুক্ত হতে হবে। এমনকি রুশ তেল গ্যাস ও কয়লার ওপর নির্ভরতা না কমানোর জন্য পূর্ববর্তী জার্মান সরকারগুলোর সমালোচনা করেন তিনি।

তবে সম্প্রতি সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতারের জ্বালানি মন্ত্রী সাদ শেহরিদা আল-কাবি বলেন, সারা বিশ্বে সরবরাহ করা গ্যাসের ৩০-৪০ শতাংশের যোগান দিয়ে থাকে রাশিয়া। ফলে দেশটির গ্যাসের বিকল্প উৎস খুঁজে পাওয়া ইউরোপের জন্য বাস্তবে সম্ভব নয়।