ইউক্রেনে সাঁজোয়া যান পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, তার দেশ ইউক্রেনে কিছু সাঁজোয়া বুশমাস্টার যান পাঠাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলেনস্কি অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি বলেন, ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা ব্যাপক প্রয়োজন। জেলেনস্কির ভাষণের পর অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনে ওই যান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিবিসি।

ইউক্রেনে সাঁজোয়া যান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন, এ সময় দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেন জেলেনস্কি

তবে অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনে কয়টি গাড়ি স্থানান্তর করবে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ান সামরিক বিমানে একবারে মাত্র চারটি পরিবহন করা যেতে পারে। ক্যানবেরা এর আগে আফগানিস্তান এবং ইরাকের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে এই যানবাহন ব্যবহার করেছে।

ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট: ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার টুইটারে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, তিনি কিয়েভের পথে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মেটসোলার ভ্রমণের বিশদ বিবরণ এবং তিনি কার সাথে দেখা করবেন তা নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে প্রকাশ করা হয়নি।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে মেটসোলা বলেছিলেন, ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে আগ্রহী। এজন্য দেশটিকে সমর্থন করা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।

চেরনোবিল থেকে সরল রুশ সেনা: ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) জানিয়েছে, রুশ সেনারা এখন চেরনোবিল থেকে বেরিয়ে গেছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএইএ বলছে, রুশ বাহিনী লিখিতভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের কর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

প্ল্যান্টের কর্মীরা বলছেন, সাইটে আর কোনো বহিরাগত নেই। যদিও আইএইএ এর আগে বলেছিল, বিষয়টি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি তারা। রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেন আক্রমণের শুরুতে চেরনোবিলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।

চেরনোবিল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউক্রেন নিরাপত্তাকর্মীদের সেখানে মোতায়েন রাখে। প্রতিষ্ঠানটি স্পর্শকাতর হওয়ায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবসময় সেখানে ছিল। চেরনোবিলে ১৯৮৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটে।