ক্রেমলিনের টপ সিক্রেট: পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে রহস্য

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন রহস্য দেখা দিয়েছে। তার স্বাস্থ্য তথ্য নিয়ে ক্রেমলিনের আচরণ রহস্যজনক। সম্প্রতি নতুন এক নথিতে ফাঁস হয়েছে, পুতিন তার বিলাসবহুল ব্ল্যাক সি রিট্রিটে ৩৫ বার থাইরয়েড ক্যান্সারের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। নিয়মিত তিনি স্টেরয়েড গ্রহণ করছেন বলেও জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।

ভ্লাদিমির পুতিন, ছবি-টেলিগ্রাফ

ইসরায়েল ন্যাশনাল নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান নেতার মস্কোভিত্তিক থাইরয়েড ক্যান্সারের বিশেষজ্ঞ ইয়েভজেনি সেলিভানভ। তিনি বয়স্ক এবং বার্ধক্যজনিত থাইরয়েড ক্যান্সারের ব্যাপারে বিশেষ পারদর্শী। চার বছরে মোট ১৬৬ দিন সোচিতে পুতিন তার পছন্দের বাসভবনে উড়ে এসেছিলেন বলে তথ্য রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পুতিন বিকল্প থেরাপি হিসেবে হরিণ ও পিঁপড়া থেকে প্রাপ্ত রক্তে স্নানও করেছেন। তার স্বাস্থ্য খারাপের বিষয়টি ক্রেমলিনের এখন প্রধান গোপন বিষয়। থাইরয়েড ক্যান্সারের চিকিৎসায় সাধারণত স্টেরয়েড জড়িত থাকে, যা দাতব্য সংস্থার মতে উদ্বেকগজন। এ রোগের কারণে সাধারণত হ্যালুসিনেশন হয় এবং এমনকি রোগী এমন জিনিস কল্পনা করতে পারে যা বাস্তব নয়।

স্টেরয়েডের কারণে শরীর ফুলেও যেতে পারে। পুতিনের ফুলে যাওয়া চেহারা এর আগে প্লাস্টিক সার্জারি বলেও চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্রেমলিন পুতিনের ক্যান্সারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ৬৯ বছর বয়সী পুতিনের ক্যান্সার নেই। রাশিয়ায় নিষিদ্ধ একটি অনুসন্ধানী সংবাদ সংস্থা বলেছে, বিষয়টি একটি মিথ্যা তথ্য ছিল।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট গতবছরের সেপ্টেম্বরে এক মাসের জন্য জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে ছিলেন। এখন তিনি বেশিরভাগ সাক্ষাতে একটি দীর্ঘ টেবিলের অপর প্রান্তে অবস্থান করেন। তার সাথে ভ্রমণকারী মেডিকেল কর্মীদের একটি বিশেষ নির্দেশনাও দেওয়া রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শরতে পুতিনের গোপনে অস্ত্রোপচার হয়। মেডিকেল সার্কেলগুলো জানিয়েছে, কথিত আছে প্রেসিডেন্ট পুতিন এই সময়ের মধ্যে কোনও ধরনের থাইরয়েড রোগের সাথে সম্পর্কিত একটি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। সরকারি নথি পরীক্ষা করে কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পুতিনের বাসভবনের কাছে চারটি ভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছিলেন একদল ডাক্তার।

যদিও পুতিনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অতীতে অসমর্থিত প্রতিবেদন রয়েছে। ২০২০ সালে পুতিন পরের বছর পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন বলেও খবর পাওয়া যায়। তবে পুতিন পারকিনসন্স রোগে ভুগছেন- এই তথ্যটি গুজব বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।