পেইনকিলার খেয়ে বোলিং, প্রশংসিত তাসকিন

দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়ে গেছে। খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ বোলিং করছেন। এমনকি হাত ঘুরিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। কিন্তু দেখা নেই তাসকিন আহমেদের।

তাসকিন আহমেদ

অবশেষে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বোলিংয়ে দেখা গেল ডানহাতি এই ফাস্ট বোলারকে। বোলিংয়ে এসেই এলগার-পিটারসেনের ৬৮ রানের জুটি ভেঙেছেন। দুবার জীবন পাওয়া এলগারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। পরে কেশভ মহারাজকেও ফেরান তিনি। ১১ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।

যদিও ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই কাঁধে ব্যথা পেয়েছিলেন এ তরুণ পেসার। সেই ব্যথার কারণে এই টেস্টের পর দেশেই ফিরে আসছেন তাসকিন। রোববার পেইনকিলার তথা ব্যথানাশক খেয়ে বোলিং করেছেন দ্রুতগতির এই পেসার। বাঁহাতের কাঁধে ব্যথা তাসকিনের।

স্বীকৃত চার বোলার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। তাসকিনকে না পাওয়ায় বোলারের ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। পরে পেইনকিলার খেয়ে এসে সেই তাসকিনই দলকে এগিয়ে দিলেন। দেশের জন্য এমন নিবেদন দেখিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।

গতকাল রোববার টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কথায়ও উঠে এসেছে তাসকিনের ব্যথা সয়ে বোলিংয়ের বিষয়টি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘স্পিনে আমরা খেলে অভ্যস্ত নই তা না। আর সব ফাস্ট বোলার, এমনকি তাসকিন কাঁধের ইনজুরি নিয়েও পেইন কিলার খেয়ে বোলিং করেছে। বোলাররা ভালো করেছে, এখন ব্যাটারদের পালা।’

আজ পঞ্চম দিনে ম্যাচ বাঁচাতে পুরো দিন ব্যাটিং করতে হবে বাংলাদেশকে। জিততে প্রয়োজন ২৬৩ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট। ডারবানের উইকেট বিবেচনায় সেটা কতটা কঠিন কর্ম, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

চার বোলার নিয়ে খেললেও উইকেটে প্রোটিয়া স্পিনারদের পারফরম্যান্স টিম ম্যানেজমেন্টকে মনে করিয়েছে তাইজুল ইসলামের কথা। সাকিব আল হাসান নেই, বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলকেও খেলায়নি বাংলাদেশ। দেশের বাইরে কন্ডিশন চিন্তা করে ব্যাটসম্যান বেশি খেলিয়েছে টাইগাররা।

সুজন বলেন, ‘সাকিবের না থাকা অনেক প্রভাব ফেলে। সাকিব না থাকলে একজন ব্যাটার বেশি নিয়ে খেলতে হয়, একজন বোলার কম নিতে হয়। আমাদের দুইটা পেসার থাকলে তাসকিনের ইনজুরির পর এক পেসার নিয়ে খেলা খুব কঠিন হত। তাই বলব না ভুল করেছি। সবাই চিন্তা করেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি।

‘উইকেট নিয়ে প্রথম থেকেই একটু দ্বিধায় ছিলাম। তাইজুল খেললে ভালো হত এখন মনে হচ্ছে। আবার দুই পেসার নিয়ে খেলতাম যদি, আর উইকেটে স্পিন না থাকত, তখন মনে হত একজন পেসার কেন নিলাম না।’ বলেন সুজন।