কামিন্সের ব্যাটে মহাপ্রলয়, ১৫ বলে ৫৬

বল হাতে নিয়েছেন দুই উইকেট। কিন্তু চার ওভারে রান দিয়েছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রান। ব্যাট হাতে পুষিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। ভাগ বসালেন আইপিএলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে। তাতেই উড়ে গেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কামিন্স তাণ্ডবে ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স পৌঁছে গেল চার ওভার ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই।

কামিন্সের ব্যাটে মহাপ্রলয়, ১৫ বলে ৫৬

বুধবার রাতে পুনে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চার উইকেটে ১৬১ রান করে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রান তাড়ায় ভালোই চাপে পড়েছিল কলকাতা। চাপটা তুরি মেরে উড়িয়ে দিলেন কামিন্স। তার ব্যাটে উঠল মহাপ্রলয়। সেই ঝড়েই এলোমেলো মুম্বাইর জয়ের স্বপ্ন। ৪১ বলে ৬১ রানের যে সমীকরণ সেটা কামিন্স মিলিয়ে ফেললেন ২৪ বল হাতে রেখেই।

১৫ বলে ৫৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। ইনিংস খেলার পথে ১৪ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি; কামিন্স ভাগ বসালেন টুর্নামেন্টের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুলের রেকর্ডে। বিস্ফোরক ইনিংসটা কলকাতা অলরাউন্ডার সাজালেন চারটি চার ও ছয় ছক্কায়। তার সঙ্গী ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ৪১ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকলেন।

কামিন্সের ব্যাটে মহাপ্রলয়, ১৫ বলে ৫৬

রান তাড়ায় কলকাতার শুরুটা ছিল মন্থর। প্রথম চার ওভারে আসে ১৬ রান। পরের ওভারের প্রথম বলেই ধাক্কা। সাত রানে ফিরে যান ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে। ষষ্ঠতম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছুঁতেই সাজঘরের পথ ধরলেন আরো তিনজন। স্যাম বিলিংস ১৭, নিতিশ রানা ৮ ও আন্দ্রে রাসেল ফেরেন ১১ রানে।

উইকেটের লাগাম টানতে গিয়ে কমে যায় ভেঙ্কাটেশের রানের গতি। তিনি যতটা শান্ত থাকলেন ততটাই আগ্রাসী হয়ে উঠলেন কামিন্স। টর্নোডো ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন অজি তারকা। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে অবধারিতভাবেই তিনি হলেন ম্যাচ সেরা। কলকাতার পতন হওয়া উইকেটের দুটি করে নিয়েছেন টিমাল মিলস ও মুরুগান অশ্বিন।

এর আগে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়েরও। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১২ বলে তিন রান করে আউট হয়ে যান। টি-টোয়েন্টি মেজাজের বিপরীতে ব্যাটিং করেছেন উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী ইশান কিশানও। ২১ বলে ১৪ রানে ফেরেন তিনি। পরে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন মিডল অর্ডারের চার ব্যাটার দেওলাত ড্রেভিস, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্ম ও কাইরেন পোলার্ড।

ঝড় উঠেছে চারজনের ব্যাটেই। ১৯ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ২৯ রানে ফেরেন ড্রেভিস। ৩৬ বলে পাঁচটি চার ও দুই ছক্কায় ৫২ রান তোলেন সূর্য। ২৭ বলে তিনটি চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রানে অজেয় থাকলেন তিলক। তার সঙ্গী পোলার্ড পাঁচ বলে তিন ছক্কায় ২২ রানের ক্যামিও ইনিংসে বাঁচিয়ে রাখলেন নিজের উইকেট। কিন্তু বিফলে গেল তাদের সব প্রচেষ্টা।

চার ম্যাচে তিন জয়ে কলকাতা উঠেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। আর তিন ম্যাচের সবকটিতেই হারল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গতবারের আরেক ফাইনালিস্ট চেন্নাই সুপার কিংসও তিন ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের স্বাদ পায়নি। আইপিএলের এবারের মৌসুমে জয় না পাওয়া অন্য দলটি হচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে অরেঞ্জ আর্মিরা।

পরবর্তী দিনের খেলা

৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার): লখনৌ সুপার জায়ান্টস-দিল্লি ক্যাপিটালস, রাত ৮টা।

দুই দলের পরবর্তী খেলা

৯ এপ্রিল (শনিবার): মুুম্বাই ইন্ডিয়ান্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গারুরু, রাত ৮টা।
১০ এপ্রিল (রোববার): কলকাতা নাইট রাইডার্স-দিল্লি ক্যাপিটালস, বিকেল ৮টা।