ভুল বুঝতে পেরে নাসুমের দুঃখ প্রকাশ

ঠিক লঙ্কাকাণ্ড না হলেও গত কয়েকদিনে বিপিএলকে আবারও জাগিয়ে তুলেছিলেন ক্রিকেটার নাসুম আহমেদ। অপরিপক্ক চিন্তা-ভাবনা, ভুল পরামর্শে ভুল পথে হেঁটে নিজের সম্মান কমিয়েছেন। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে কাঠগড়ায় দাড় করাতে গিয়ে নিজেকেই ছোট করেছেন নাসুম।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও নাসুম

চট্টগ্রাম তার পূর্ণ পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন বাঁহাতি এ স্পিনার। যদিও এ তথ্য পুরোই অসত্য ছিল।

জানা গেছে, মূলত ট্যাক্স তথা সরকারি করের টাকাও দিতে চাইছিলেন না নাসুম। তার আশা ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি তা দিয়ে দিবে। যদিও নিয়ম হলো ট্যাক্সের টাকা ক্রিকেটারকেই দিতে হবে। চট্টগ্রাম নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেছে। কিন্তু নাসুম নিজের আবদারকে অভিযোগের আকারে উপস্থাপন করেছেন মিডিয়ায়। যার প্রেক্ষিতে পুরো ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজটি।

নাসুম আহমেদ

অবস্থা বেগতিক দেখে নাসুম দোষ স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ঘটনার ইতি টানতে চেয়েছেন তিনি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ট্যাক্সের ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার জন্য এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তরুণ এই ক্রিকেটার।

নিজের ভুল বুঝতে পেরে সংবাদমাধ্যমকে নাসুম বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ওদের সাথে আমার কোনো বিরোধিতা নাই। কারণ ওরাই আমাকে প্রথমে দলে নিয়েছিল। এটা অস্বীকার করার কিছু নাই। নিউজটা যেভাবে আসছে, ওইভাবে বলিনি। আর কথাটা আসলে আমি ওভাবে বলতে চাইনি। হয়তো আমার বোঝানোর ভুল হয়েছে বা এজন্য আমি স্যরি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছি, আমার সাথে যে চুক্তিটা হয়েছে, আমি আমার চুক্তির পুরো ৩৫ লাখ টাকা যেন পাই, বাকি ট্যাক্সের যে হিসেব বা যা আসবে, আইকন প্লেয়ার হিসেবে ফ্র্যাঞ্চাইজি যেন তা দিয়ে দেয়।’

ঘটনাটা মেনে নিয়েছেন নাসুম। এখন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আর বিরোধ নাই তার। সিলেটের এ ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি মৌখিক যে কথা বলেছি, বলে সাইন করেছি, মানে আমি যেন আমার চুক্তির পুরো ৩৫ লাখ টাকাই পাই। ৩৫ লাখ টাকায় যে পরিমাণ ট্যাক্স আসে, ওটা যাতে ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে দেয়। কিন্তু কালকে যেটা শুনছি, এটা ওরা দিতে পারবে না। ঠিক আছে, আমি আমার ফুল পেমেন্ট পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।