শেষবার শেরেবাংলা ঘুরে বনানীতে চিরনিদ্রায় রুবেল

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট। নিত্যদিন এই মাঠের সবুজ জমিনে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। ব্যাটে-বলে ঝংকার তুলেছেন। তার দাপটের সাক্ষী এই মাঠ। হাসিখুশি, পরিশ্রমী ক্রিকেটার রুবেলের সঙ্গে সবারই ছিল দারুণ সম্পর্ক।

ক্রিকেটার রুবেলের জানাজ অনুষ্ঠিত

মঙ্গলবার রাতে প্রিয় সবুজের চত্বরে অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে শেষবার এসেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। রুবেলের নিথর দেহ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে। শেরেবাংলার আকাশ-বাতাসে বিয়োগ ব্যথার অনুরণন। ফ্লাডলাইটের কৃত্রিম আলোয় সতীর্থদের কাঁধে চড়ে মাঠে আসেন রুবেল। মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, এনামুল হক, আল-আমিন, শরীফুল ইসলামরা জানাজায় শামিল হয়ে শ্রদ্ধা জানালেন প্রিয় সতীর্থকে। চিরবিদায় নিলেন রুবেল।

বিসিবির পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খান, নাঈমুর রহমান, খালেদ মাহমুদ সুজন, জালাল ইউনুস, ইফতেখার মিঠু, তানভীর আহমেদ টিটু, বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন। সাইরেন বাজিয়ে লাশবাহী গাড়ি রুবেলকে নিয়ে ছুঁটে যায় মিরপুর স্টেডিয়াম থেকে। শোকে পাথর সতীর্থরা মুহ্যমান রুবেলের স্মৃতি মনে করে। রাতেই বনানী কবরাস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

ছেলের সঙ্গে মোশাররফ রুবেলের এই ছবি এখন শুধুই স্মৃতি

জানাজার পর অনুজের স্মৃতিচারণ করে সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান বলেন, ‘একটা ভালো মানুষের যেসব গুণ থাকা দরকার রুবেলের সব ছিল। শৃঙ্খল জীবন। ভালো ক্রিকেট খেলতো। ভালো মানুষ। শিক্ষিত ছেলে। ভালো পরিবারের ছেলে। উদাহরণ দেওয়ার মতো একজন মানুষকে আজ আমরা হারালাম।’

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার আগে বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন রুবেল। ২০১৯ সালের ওই টুর্নামেন্টের পর আর ক্রিকেটে ফেরা হয়নি তার। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়েও শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন এই মিরপুরে।

মঙ্গলবার মিরপুর স্টেডিয়াম থেকেই চিরনিদ্রায় শায়িত হতে ছুঁটলেন রুবেল। এদিন বিকেল ৫টায় তিন বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রুবেল।