হতাশ করলেন ফিজ, বাটলার তাণ্ডবে জিতল রাজস্থান

শেষ ওভারে দরকার ৩৬ রান। জিততে হলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে করতে হবে রেকর্ড; গড়তে হবে ইতিহাস। রভম্যান পাওয়েল প্রথম তিন বলে টানা ছক্কা হাঁকান। নড়েচড়ে বসেছিলেন দর্শকেরা। শেষ অবধি বাজিমাত করতে পারেননি ক্যারিবীয় তারকা। অতি নাটকীয় কিছুও ঘটেনি। ৪২৯ রানের বিগ স্কোরিং ম্যাচে জিতে গেল রাজস্থান রয়্যালস।

টলার তাণ্ডবে জিতল রাজস্থান

শুক্রবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে জস বাটলারের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ওভারে দুই উইকেটে ২২২ রানের পাহাড় গড়ে রাজস্থান। জবাব দিতে নেমে আট উইকেটে ২০৭ রান তুলতে সক্ষম হয় মোস্তাফিজের দিল্লি। ম্যাচে বল হাতে সুবিধা করতে পারেননি বাঁহাতি পেসার। চার ওভারে ৪৩ রান দিয়ে তিনি নেন কেবল বাটলারের উইকেট।

রাজস্থানের ইনিংসের শেষ বলে ইংলিশ ব্যাটারকে ফেরান মোস্তাফিজ। বাটলারকে ফেরাতে পারাটাই যেন মোস্তাফিজ ও দিল্লিকে একটু স্বস্তি দিয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে। বাটলার আউট হলেন ১১৬ রানে। ৬৫ বলের ইনিংসে রাজস্থান রয়্যালস ওপেনার হাঁকান নয়টি করে চার-ছক্কা। ম্যাচ সেরার ইনিংস খেলার পথে দুই সঙ্গীর যোগ্য সঙ্গটাই পেয়েছেন তিনি।

৩৫ বলে সাতটি চার ও দুই ছক্কায় ৫৪ রান করেন দেবদূত পাডিক্কাল। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। এই ত্রয়ীর দুর্দান্ত ব্যাটিং বোলারদের এনে দিয়েছে রানের পাহাড়। সেই পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে দারুণ জয় তুলে নিল রাজস্থান। তবে রান তাড়ায় দিল্লির শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া।

প্রথম চার ওভারে গড়ে দশের বেশি রান তোলে দিল্লি। ১৫ ওভার অবধি রানের চাকার গতিটা এমনই ছিল। কিন্তু অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারাতে হয়েছে তাদের। শেষ দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিল্লিকে চেপে ধরে রাজস্থান। সেই চাপেই শেষ হয়ে গেছে দিল্লি। ম্যাচের শেষ দিকে পাওয়েল যে ঝলক দেখিয়েছেন তা কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে।

২২৩ রানের কঠিন লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দিল্লির কোনো ব্যাটার পাননি ফিফটি। তবে আভাস নিয়ে ফিরেছেন কয়েকজনই। পৃথ্বি শ ২৭ বলে ৩৭, ডেভিড ওয়ার্নার ১৪ বলে ২৮, ঋষভ প্যান্ট ২৪ বলে ৪৪, ললিত যাদব ২৪ বলে ৩৭ এবং পাওয়েল ১৫ বলে ৩৬ রানে আউট হন। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছক্কার মার।

আইপিএলের চলতি মৌসুমে সাত ম্যাচে পাঁচটিতে জিতল শীর্ষে থাকা রাজস্থান। বিপরীতে চারটিতেই হারল দিল্লি।

পরবর্তী দিনের খেলা

২৩ এপ্রিল (শনিবার): কলকাতা নাইট রাইডার্স-গুজরাট টাইটান্স, বিকেল ৪টা।
২৩ এপ্রিল (শনিবার): রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাত ৮টা।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ

২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার): রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু-রাজস্থান রয়্যালস, রাত ৮টা।
২৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার): দিল্লি ক্যাপিটালস-কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাত ৮টা।