হেইট স্পিচ ও ক্ষতিকর কনটেন্ট রুখতে যুগান্তকারী আইন

হেইট স্পিচ, মিথ্যা প্রচারণা ও ক্ষতিকর কনটেন্ট রুখতে যুগান্তকারী একটি আইন চূড়ান্ত করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এতে করে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও ভাষাভাষী মানুষের বিরুদ্ধে ঘৃণা, সহিংসতা ও বৈরিতা উসকে দেওয়া বক্তব্য প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর বেপরোয়া মনোভাবে ইতি টানা সম্ভব হবে। পাশাপাশি মিথ্যা প্রচারণা ও ক্ষতিকর কনটেন্টের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল কোম্পানিগুলোর অধিকতর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে। খবর এপি।

ডিএসএতে ইউরোপিয়ান কমিশনকে অতিকায় প্ল্যাটফর্মগুলো তদারকের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে

ইইউ কর্মকর্তারা শনিবার একটি ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)-এর খুঁটিনাটি নিয়ে নীতিগত ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। নতুন এ আইন জোটর্ভুক্ত ২৭টি দেশে গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজনের মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলোকে আরও দায়িত্বশীল আচরণে বাধ্য করবে। সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের জন্যও মিথ্যা ও আপত্তিকর কনটেন্ট চিহ্নিত করা সহজ হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও আইনের ব্যত্যয় হলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে চড়া অঙ্কের জরিমানা করতে পারবে।

ইইউ’র ইন্টারনাল মার্কেট কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন বলেন, বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো এতদিন যে বেপরোয়া ভাব দেখাত, ডিএসএর মাধ্যমে তার অবসান ঘটতে চলেছে। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর অধিকতর জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রণীত বিধানগুলো কার্যকরে নতুন আইনে যথেষ্ট ‘লাঠিসোটা’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইউরোপিয়ান কমিশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইইউর কম্পিটিশন কমিশনার মার্গরেথ ভেসটেগার বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর সেবা সমাজ ও নাগরিকদের জন্য যে ঝুঁকি ধারণ করে আজকের সমঝোতার মাধ্যমে আমরা তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করছি।

কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন বলেন, ইন্টারনেট ইউজার ও তাদের ‘অনলাইনে মৌলিক অধিকার’ সুরক্ষায় ইইউর নতুন আইনটি প্রণীত হয়েছে, যাতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ইউজারদের তৈরি করা ও তাদের প্ল্যাটফর্মের অ্যালগোরিদমে ছড়িয়ে দেওয়া কনটেন্টের বিষয় অধিকতর জবাবদিহিতার আওতায় আসে।

তিনি আরও জানান, ডিএসএতে ইউরোপিয়ান কমিশনকে বৃহৎ প্ল্যাটফর্মগুলো তদারকের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। আইনের কোনো লঙ্ঘন ঘটলে ইইউ চাইলে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের বৈশ্বিক বিক্রির ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে। উপর্যুপরি ব্যত্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্ল্যাটফর্মকে অভিন্ন ইউরোপীয় বাজারে নিষিদ্ধ করারও বিধান রয়েছে।