কেটেছে বাধা, আজ থেকে ই-সিমের যুগে বাংলাদেশ

গত ৭ এপ্রিল ঘোষণা দিয়েও ই-সিম বিক্রি শুরু করতে পারেনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির বাধার মুখে পড়ে তারা। এবার ই-সিম বিক্রিতে সংস্থাগুলো থেকে সবুজ সংকেত মিলেছে। তাই প্রথম অপারেটর হিসেবে আজ সোমবার থেকে দেশে ই-সিম বিক্রি শুরু করেছে গ্রামীণফোন।

ই-সিমের যুগে বাংলাদেশ, ফাইল ছবি

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো ই-সিম বিক্রি করতে পারবে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), তবে আগের মতোই গুনতে হবে কর। অপারেটরগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন এনবিআরের সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা।

তিনি বলেন, সাধারণ সিমের মতোই ই-সিমের জন্য ২০০ টাকা ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি পরিশোধ করে মোবাইল অপারেটরগুলো ই-সিম বিক্রি করতে পারবে বলে আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি।

সিম

এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, এ ধরনের উন্নত ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত। ই-সিম উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কানেক্টিভিটির নতুন যুগের সূচনায় আমাদের সহায়তা করার জন্য বিটিআরসি, এনবিআর, গ্রামীণফোনে সহকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের ধন্যবাদ জানাই।

ই-সিমের পূর্ণ রূপ হলো এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল। প্রচলিত প্লাস্টিকের সিমকার্ডের মতো এই সিম সহজে খোলা ও পরিবর্তনের সুযোগ নেই। সিমটি সরাসরি মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ডে যুক্ত থাকে। শুধু আগে থেকে ইনস্টল করা ডিভাইসগুলোতেই ই-সিম কাজ করে।